পিতামাতার সঙ্গে সদ্ব্যবহারের গুরুত্ব
হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রাযি. বর্ণনা করেন, আমি রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট জিজ্ঞেস করলাম, আল্লাহ তাআলার নিকট সবচেয়ে প্রিয় আমল কোনটি? তিনি বললেন, ওয়াক্তমতো নামায পড়া।
আমি জিজ্ঞেস করলাম, এর পর কোনটি? তিনি বললেন, পিতামাতার সঙ্গে সদ্ব্যবহার করা । আমি জিজ্ঞেস করলাম, এর পর কোনটি? তিনি বললেন, আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করা।'১
হযরত আব্দুল্লাহ বিন আমর রাযি. বলেন, একব্যক্তি রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট এসে আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি এবং সওয়াব পাওয়ার উদ্দেশ্যে জিহাদের শরিক হওয়ার অনুমতি প্রার্থনা করল।
তিনি তাকে জিজ্ঞেস করলেন, তোমার পিতামাতা আছেন কি? জবাবে সে বলল, জি হাঁ; দুজনই আছেন।
তিনি বললেন, তা হলে যাও; ভালোভাবে তাঁদের খেদমত করো। আরেক রেওয়ায়াতে রয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, তাঁদের খেদমত করে জিহাদ করো ।২
এ-সব হাদিস দ্বারা বোঝা গেল, যদি পিতামাতার খেদমতের প্রয়োজন হয় তা হলে যতক্ষণ পর্যন্ত জিহাদ ফরযে আইন না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত তাঁদের খেদমতে নিরত থাকা, জিহাদে যাওয়া থেকেও উত্তম ।
আর এ-ঘটনা মুসলমানদের অনেকেরই জানা যে, হযরত উয়াইস কারনি রহ. ইয়ামানের বাসিন্দা ছিলেন। তিনি রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দর্শনলাভের জন্য মদিনায় আসতে চাইতেন।
কিন্তু যেহেতু তাঁর মায়ের খেদমতের প্রয়োজন ছিল, তাই রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁকে তাঁর নিকট আসতে নিষেধ করে মায়ের খেদমতে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। ফলে তিনি তাঁর দর্শনলাভ করতে পারেননি।
কিন্তু মায়ের খেদমতের বদৌলতে আল্লাহ তাআলা তাঁকে এমন মাকাম দান করেছেন যে, বড় বড় সাহাবিও তাঁর থেকে দোয়া চাইতেন ।
যখন ফারুকে আযম রাযির খেলাফতকালে তিনি মদিনা আগমন করলেন, তখন হযরত উমর ফারুক রাযি. খুবই আগ্রহ সহকারে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার জন্য এবং তাঁকে দিয়ে দোয়া করানোর জন্য গিয়েছিলেন।
১.বুখারি; মুসলিম
২. বুখারি