জীবনের লক্ষ্য! কোন গন্তব্যে ছুটছেন প্রতিদিন?

জীবনের লক্ষ্য! কোন গন্তব্যে ছুটছেন প্রতিদিন?


নতুন ইসলামি বছর শুরু হয়ে গেছে। নিজের জীবনের মূল্যবান সময় সম্পর্কে একটু ভাবুন। প্রত্যেক মানুষের ভাবা উচিত, তার জীবনের গতি কোন দিকে । তার এই পদক্ষেপ কি জান্নাতের পথে হচ্ছে না কি জাহান্নামের পথে ।


যাঁরা মনে-মনে আল্লাহ তাআলার মানুষকে দুনিয়ায় পাঠানোর উদ্দেশ্য নিয়ে ভাবেন, তাঁরা নিজেদের জীবনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ভুলে যান না । তাঁরা ভাবেন, কোন কাজে মনিবের সন্তুষ্টি রয়েছে; কোন কাজ করা উচিত। আর আখেরাত (যা সত্যিকার অর্থে নিজের বাসভূমি) বিনষ্ট হচ্ছে না কি সজ্জিত হচ্ছে – প্রতিটি মানুষের এ-চিন্তাটি থাকা উচিত। নিজের জীবনের হিসাব-নিকাশ করা উচিত যে, বিগত বছরে কী অর্জিত হয়েছে আর কী হারিয়েছে ।


যখন মহররম মাস শুরু হল তখন বুঝে নিন যে, নতুন বছর শুরু হয়ে গেছে । চিন্তা করুন এবং ভাবুন, গত মহররম থেকে এই মহররম পর্যন্ত পুরো একটি বছর পেরিয়ে গেছে। কিন্তু পরকালের হিসেবে গত মহররমে যেখানে ছিলেন এখনও কি সেখানেই রয়ে গেছেন, না কি দু' এক কদম অগ্রসরও হওয়া গেছে। যদি বছর পেরিয়ে যাওয়ার পরও অবস্থায় সামান্যতমও পরিবর্তন না এসে থাকে তা হলে তো ক্ষতিরই কথা। 

কোনও ব্যক্তি যদি কামাই করার জন্য দেশের বাইরে যায়; আর যে-পুঁজি নিয়ে যায় বছরশেষে সেই পুঁজিই থেকে যায়, কোনওকিছু কামাই না করে থাকে, তা হলে এটা কতবড় দুর্ভাগ্য এবং বঞ্চনার কথা! ভেবে দেখুন! 


গত বছর কত লোক জীবিত ছিল, আর এখন কতজন দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়ে গেছে। এভাবেই সবাইকে একদিন এই দুনিয়া ছেড়ে যেতে হবে । তাই প্রতিটি মুহূর্ত খুবই মূল্যবান ।

প্রতি বছরের শুরুতে কমপক্ষে এ-শিক্ষাটা নেওয়া উচিত যে, একটি বছর পেরিয়ে গেছে, কিন্তু এখনও কি সেখানেই দাঁড়িয়ে রয়েছে, যেখানে গত বছর ছিল; না কি একটুখানি অগ্রসর হওয়া গেছে। অগ্রসর হওয়ার অর্থ হল, যদি একটি গোনাহও ছুটে গিয়ে থাকে তা হলেও কিছুটা আগে এগোনো হয়েছে। 


আর যদি এমন হয় যে, গত মহররমের শুরুতে যতগুলো গোনাহ ছিল এখনও ততগুলোই আছে, একটি গোনাহও ছুটেনি, তা হলে বড়ই ক্ষতির জীবন যাপন করা হয়েছে। কিছুটা হলেও ভাবা চাই, একদিন তো মরতে হবে; কতদিন জীবিত থাকা যাবে ।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url