بِسْمِ اللَّهِ -এর ফযিলত যে ফজিলতগুলো জানলে অবাক হবেন!
১. মেঘমালা পূর্ব দিকে ছুটে গেছে;
২. বাতাস স্থির হয়ে গেছে;
৩. সমুদ্র স্থির হয়ে গেছে;
৪. পশুরা কান পেতে থেকেছে;
৫. শয়তানের ওপর আসমান থেকে অগ্নিস্ফুলিঙ্গ বর্ষিত হয়েছে;
৬. আল্লাহ তাআলা তাঁর ইজ্জত ও মর্যাদার কসম করে বলেছেন, যার ওপর আমার এ-নাম নেওয়া হবে তার মধ্যে অবশ্যই বরকত হবে ।
হযরত ইবনে মাসউদ রাযি. বলেন, জাহান্নামের উনিশ দারোগা থেকে কেউ যদি রক্ষা পেতে চায় তা হলে তার উচিত তা পাঠ করা । এর মধ্যেও ঊনিশটি হরফ রয়েছে। একেকটি হরফ একেক জন দারোগা থেকে রক্ষাকবচ হবে । এটা ইবনে আতিয়্যা রহ.র বর্ণনা ।
উল্লিখিত হাদিসের সমর্থন আরেকটি হাদিসে পাওয়া যায়। হাদিসটি এরূপ-
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আমি ত্রিশেরও অধিক ফেরেশতাকে দেখেছি যে, তারা জলদি করছে। এ-কথা রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামা তখন বলেছেন, যখন এক ব্যক্তি رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ حَمْدًا كَثِيرًا طَيِّبًا مُبَارَكًا فِيهِ পড়েছিল। এর মধ্যেও ত্রিশটি বেশি হরফ রয়েছে। ওই সংখ্যক ফেরেশতাই নাযিল হয়েছিলেন। তদ্রূপ بِسۡمِ اللّٰهِ الرَّحۡمٰنِ الرَّحِیۡمِ
মধ্যেও ঊনিশটি হরফ রয়েছে। আর দোজখের ফেরেশতার সংখ্যাও উনিশ ।
মুসনাদে আহমাদে রয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সওয়ারির পিছনে যিনি আরোহী ছিলেন, তিনি বর্ণনা করেছেন, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উটণী পিছলে পড়লে আমি বললাম, ধ্বংস হোক শয়তানের। তিনি বললেন, এরূপ বোলো না। এতে শয়তান ফুলে ওঠে, ধারণা করে, সে-ই তার শক্তি দিয়ে ফেলে দিয়েছে ।
তবে হাঁ, ‘বিসমিল্লাহ’ বলা হলে সে মাছির মত লাঞ্ছিত এবং ক্ষুদ্র হয়ে যায়।
এক হাদিসে আছে, যে কাজ ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম’ দ্বারা শুরু করা হয় না
সে-কাজ বে-বরকত হয়।