বাতাস ও বৃষ্টি পরিচালনাঃ মহান আল্লাহর অনবদ্য নেয়ামত কুদরতের উৎকৃষ্ট নমুনা

বাতাস ও বৃষ্টি পরিচালনাঃ মহান আল্লাহর অনবদ্য নেয়ামত কুদরতের উৎকৃষ্ট নমুনা। আল কুরআনের শিক্ষা

আল কুরআনে বাতাস ও বৃষ্টি প্রসঙ্গ

মানুষ বাতাস ও বৃষ্টি-পানি ছাড়া চলতে পারে না। এসব মহান আল্লাহ বৈজ্ঞানিক উপায়ে মানুষের মাঝে বন্টন করে থাকেন। কুরআনুল কারীমে এ বিষয়ে মহান আল্লাহর ঘোষনা-

وَ اَرۡسَلۡنَا الرِّیٰحَ لَوَاقِحَ فَاَنۡزَلۡنَا مِنَ السَّمَآءِ مَآءً فَاَسۡقَیۡنٰکُمُوۡهُ ۚ وَ مَاۤ اَنۡتُمۡ لَهٗ بِخٰزِنِیۡنَ ﴿۲۲﴾

“আমি পানিভরা বাতাস পরিচালনা করি, অতপর আকাশ থেকে তা বর্ষণ করি । তারপর তোমাদেরকে তা পান করাই। বস্তুত তোমাদের কাছে এর কোন ভাণ্ডার নেই।”-(সূরা আল হিজর : ২২)


اَللّٰهُ الَّذِیۡ یُرۡسِلُ الرِّیٰحَ فَتُثِیۡرُ سَحَابًا فَیَبۡسُطُهٗ فِی السَّمَآءِ کَیۡفَ یَشَآءُ وَ یَجۡعَلُهٗ کِسَفًا فَتَرَی الۡوَدۡقَ یَخۡرُجُ مِنۡ خِلٰلِهٖ ۚ فَاِذَاۤ اَصَابَ بِهٖ مَنۡ یَّشَآءُ مِنۡ عِبَادِهٖۤ اِذَا هُمۡ یَسۡتَبۡشِرُوۡنَ ﴿ۚ۴۸﴾

“তিনিই আল্লাহ্, যিনি বায়ু প্রেরণ করেন, তারপর তা মেঘমালাকে ধারণ করে, অতপর যেভাবে ইচ্ছে তিনি তা আকাশে ছড়িয়ে দেন এবং থরে থরে সাজিয়ে রাখেন। এরপর তুমি তা থেকে বৃষ্টিধারা ঝরে পড়তে দেখো। এই বৃষ্টি তিনি তাঁর বান্দাদের মধ্যে যাদেরকে ইচ্ছে পৌঁছান । তখন তারা আনন্দিত হয়।”

-(সূরা আর রূম : ৪৮)


পানিভরা বাতাস কে পরিচালনা করেন ? সেই পানিকে বৃষ্টি আকারে পৃথিবীর বুকে বর্ষণ করান কে? তারপর যাকে চান বৃষ্টি দিয়ে সয়লাব করে দেন আবার যাকে ইচ্ছে বঞ্চিত রাখেন, মানুষ কি এ সম্পদকে বাতাসে জমা করে রাখতে সক্ষম ? এখানে মানুষের ক্ষমতা চলে না, কেন চলে না ? 


এর পেছনেও কাজ করছে আল্লাহ তা'আলার বৈজ্ঞানিক সৃষ্টি কৌশল, কুদরত এক স্রষ্টার হাত কাজ করেছে। তিনিই পরাক্রমশালী, সমস্ত শক্তির আধার আল্লাহ্। এ মাটির চোখে হয়তো তাঁকে দেখা যায় না কিন্তু অন্তরের চোখে তিনি সদা বিদ্যমান ।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url