নবী ও রাসূলগণের উপর ঈমানের সংক্ষিপ্ত রূপরেখা

নবী ও রাসূলগণের উপর ঈমানের সংক্ষিপ্ত রূপরেখা

আল্লাহ তায়ালা স্বীয় বান্দাদের সত্যের দিকে ডাকার জন্য এবং পাপ কাজে ভয় দেখানো ও নেক কাজে সুসংবাদ দেয়ার জন্য যুগে যুগে বহু নবী- রাসূল পাঠিয়েছেন। 

সমস্ত নবী রাসূলগণ সম্পূর্ণ নিষ্পাপ ছিলেন। তাদের ডাকে যারা সাড়া দিয়েছে তারা ইহলৌকিক ও পরলৌকিক কল্যাণ লাভ করেছে। আর যারা নবী-রাসূলগণের ডাকে সাড়া দেয়নি তাঁদের দুনিয়া আখিরাত উভয়ই বরবাদ হয়েছে। 

সমস্ত নবী ও রাসূলগণের সরদার হলেন শেষনবী মুহাম্মাদ (সা.)। তাঁর সমগ্র জীবন বিশ্ব মানবের জন্য সর্বোত্তম আদর্শ, তাঁর প্রতিটি কাজ, কথা ও সম্মতি সত্য জ্ঞান করতে হবে এবং শিরোধার্য করে নিতে হবে। 

হযরত আদম (আ.) থেকে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পর্যন্ত আল্লাহ তায়ালার প্রেরিত সকল নবী ও রাসূলকে সত্য মনে করা। নবীগণ মানুষ, তাদের খোদা বা খোদার পুত্র ইত্যাদি কিছু ভাবার অবকাশ নেই। বরং তাঁরা আল্লাহ তায়ালার প্রতিনিধি। 

নবীগণ আল্লাহ তায়ালার বাণী হুবহু উম্মতের নিকট পৌঁছিয়েছেন। নবীগণের দ্বারা যে সমস্ত মু'জেযা অর্থাৎ অলৌকিক ঘটনা ঘটেছে সবগুলোকে সত্য বলে বিশ্বাস করা। মে'রাজকে বিশ্বাস করা। (শরহুল আকায়েদ: ১২৭-১২৮)

সকল সাহাবীকে সমালোচনার ঊর্ধ্বে মনে করা। তাদের প্রতি মহব্বত, ভক্তি-শ্রদ্ধা রাখা। সাহাবায়ে কেরামকে মর্তবার দিক দিয়ে নবীদের পরে সকল মানুষের উর্দ্ধে মনে করা। তাঁদের প্রতি আল্লাহ তায়ালার চির সন্তুষ্টি ও জান্নাতের সুসংবাদকে বিশ্বাস করাও ঈমানের একটি অংশ। (মামূলাতে মাসূরা: ৩৪-৩৫)

আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন- “রাসূল তোমাদের যা আদেশ করেন তা গ্রহণ কর এবং যা নিষেধ করেন তা থেকে বিরত থাক এবং আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ কঠিন শাস্তিদাতা।” (সূরা হাশর : ৭)

“আর যে কেউ আল্লাহর হুকুম এবং তাঁর রাসূল (মুহাম্মাদ সা.)-এর হুকুম মান্য করবে সে ঐ সকল লোকদের সঙ্গী হবে যাদের প্রতি আল্লাহ নিয়ামত দান করেছেন। অর্থাৎ নবী, সিদ্দীক, শহীদ ও সৎ কর্মশীল ব্যক্তিবর্গ, তাদের সান্নিধ্য সর্বোত্তম।” (সূরা নিসা : ৬৯)

খতমে নবুওয়াত অর্থাৎ রাসূল (সা.) কে শেষ নবী বলে বিশ্বাস করাও ইসলামের একটি মৌলিক আক্বীদা । আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন-

“মুহাম্মাদ তোমাদের কোন পুরুষের পিতা নন বরং তিনি আল্লাহর রাসূল এবং শেষ নবী। আল্লাহ সর্ববিষয়ে সর্বজ্ঞ।” (সূরা আহযাব : ৪০)

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url