আল কুরআনে চঁন্দ্র ও সূর্যের বর্ণনা
চঁদ্র ও সূর্যের অস্তিত্ব পৃথিবীর জন্য অপরিহার্য। এ দুটি মহান আল্লাহর সৃষ্টিকূলের অন্যতম সৃষ্টি। আল কুরআনে উজ্জ্বল সূর্য ও আলোকিত চাঁদ সম্পর্কে আয়াতগুলো নিচে উপস্থাপন করা হলো-
تبْرَكَ الَّذِي جَعَلَ فِي السَّمَاءِ بُروجًا وَجَعَلَ فِيهَا سِرجًا وَقَمَرًا منيران مُّبِيرًا
“বরকত ও কল্যাণময় তিনি, যিনি আকাশে দুর্গ স্থাপন করেছেন এবং তাতে রেখেছেন উজ্জ্বল প্রদীপ ও আলোকিত চাঁদ । ” -(সূরা আল ফুরকান : ৬১)
প্রদীপ বলতে সূর্যকে বুঝানো হয়েছে। বুরুজ বা দুর্গ বলতে ঐ সমস্ত ছায়া পথকে বুঝানো হয়েছে যা মহাকাশকে পৃথক পৃথক এলাকায় বিভক্ত করেছে । আবার প্রতিটি ছায়া পথকেই তিনি নক্ষত্র দিয়ে সাজিয়ে রেখেছেন ।
وَالشَّمْسُ تَجْرِيْ لِمُسْتَقَرٍّ لَّهَا ۗذٰلِكَ تَقْدِيْرُ الْعَزِيْزِ الْعَلِيْمِۗ ( يس: ٣٨ )
وَالْقَمَرَ قَدَّرْنٰهُ مَنَازِلَ حَتّٰى عَادَ كَالْعُرْجُوْنِ الْقَدِيْمِ ( يس: ٣٩ )
لَا الشَّمْسُ يَنْۢبَغِيْ لَهَآ اَنْ تُدْرِكَ الْقَمَرَ وَلَا الَّيْلُ سَابِقُ النَّهَارِ ۗوَكُلٌّ فِيْ فَلَكٍ يَّسْبَحُوْنَ ( يس: ٤٠ )
“সূর্য তার নিজস্ব অবস্থানে আবর্তিত হয়। এটি পরাক্রমশালী সর্বজ্ঞ আল্লাহ্ নিয়ন্ত্রিত।
চন্দ্রের জন্য আমি বিভিন্ন মনজিল নির্ধারণ করেছি, অবশেষে সে খেজুরের পুরানো শাখার মতো হয়ে যায়।
সূর্য নাগাল পায় না চন্দ্রের এবং রাত আগে চলে না দিনের। প্রত্যেকেই আপন আপন কক্ষপথে সন্তরণরত।”
-(সূরা ইয়াসীনঃ ৩৮-৪০)
এ রকম সাজানো সুন্দর সৃষ্টি যে চোখ মেলে দেখে এবং এ নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করে সে বলতে বাধ্য হবে : এ রকম সুশৃঙ্খল ও চোখ জুড়ানো সৃষ্টির পেছনে শক্তিশালী এক স্রষ্টার হাত কাজ করেছে। তিনিই পরাক্রমশালী, সমস্ত শক্তির আধার আল্লাহ্। এ মাটির চোখে হয়তো তাঁকে দেখা যায় না কিন্তু অন্তরের চোখে তিনি সদা বিদ্যমান ।