আল-কুরআনের আলোকে বে-ঈমানদের ভয়াবহ পরিণাম
যারা ঈমানদার নয় (অর্থাৎ কাফির, মুশরিক, মুনাফিক)।
যারা ঈমান গ্রহণ করে না তারা ইল্ম ও কল্যাণ থেকে বঞ্চিত। মূর্খতার অন্ধকারের গোলক ধাঁধায় পড়ে হাতড়ে মরছে। সরল-সোজা আলোর পথের সন্ধান তারা পাচ্ছে না। তাদের দৃঢ় কোন অবলম্বন নেই। শয়তান তাদের অভিভাবক হয়ে আলোর শেষ বিন্দুটুকু থেকেও দূরে সরিয়ে নিচ্ছে এবং নিকষ অন্ধকারে নিমজ্জিত করছে। সমস্ত কল্যাণ ও মঙ্গলের পথ তাদের জন্য বন্ধ করে দিচ্ছে।
দ্বিতীয় দল অন্ধ, বোবা ও বধির। সৃষ্টির অন্তর্নিহিত সৌন্দর্য থেকে তারা বঞ্চিত। প্রথম গ্রুপ আল্লাহর রহমত ও সন্তুষ্টি পাবার অধিকারী এবং দ্বিতীয় গ্রুপ আল্লাহ্ রাগ ও শাস্তির উপযোগী হয়ে পড়ে ।
কুফর কাকে বলে?
কুরআন যেসব মৌলিক বিষয়ের ওপর বিশ্বাসস্থাপনের দাওয়াত দেয়, সেগুলোকে অবিশ্বাস কিংবা অস্বীকার করার নাম কুফর।
আরবী ভাষায় ‘কুফর' শব্দের অর্থ ‘গোপন করা' কিংবা ‘ঢেকে দেয়া'। আঁধার রাতকে কাফির বলা হয়—কারণ, সে তার অন্ধকারের চাদরে সবকিছুকে ঢেকে ফেলে। কৃষককে কাফির বলা হয়, কারণ—সে বীজকে জমিনের মধ্যে লুকিয়ে রাখে।
কুরআনী পরিভাষায় কুফর হচ্ছে ঈমানের বিপরীত শব্দ। কুফর শব্দ দিয়ে বুঝানো হয়েছে যে, ঈমান থেকে ঐ ব্যক্তি বঞ্চিত, যে আল্লাহর যাবতীয় অনুগ্রহ ও নিয়ামতের কথা গোপন করে, তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে না। এভাবে প্রকৃতিগত সত্যকে সে অকৃতজ্ঞতার পর্দা দিয়ে ঢেকে রাখে ।
কুফর মূর্খতারই নামান্তর
كَيْفَ تَكْفُرُونَ بِالله وَكُنتُمْ أمْوَاتًا فَأَحْيَاكُمْ ، ثُمَّ يُمِيتُكُمْ ثُمَّ يُحْيِيكُمْ ثُمَّ إِلَيْهِ تُرْجَعُوْنَ ، هُوَ الَّذِي خَلَقَ لَكُمْ مَّا فِي الْأَرْضِ جَمِيعًا ءَ ثُمَّ اسْتَوَى إِلَى السَّمَاء فَسَوَّهُنَّ . سبع سَمُوتٍ ، وَهُوَ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمُ (البقرة : (۲۸-۲۹)
“কেমন করে তোমরা আল্লাহর ব্যাপারে কুফরী অবলম্বন করছো ? অথচ তোমরা ছিলে নিষ্প্রাণ তিনিই তোমাদেরকে প্রাণবন্ত করে তুলেছেন ।
আবার মৃত্যু দেবেন এবং পুনরায় তিনি তোমাদেরকে জীবিত করবেন। তাঁর দিকেই তোমাদেরকে প্রত্যাবর্তন করতে হবে। তিনিই সেই সত্তা যিনি তোমাদের জন্য পৃথিবীর যাবতীয় জিনিস সৃষ্টি করেছেন।
তারপর তিনি মনোযোগ দিয়েছেন আকাশের প্রতি। সাত আসমানের স্রষ্টাও তিনিই । আর আল্লাহ্ সকল বিষয়েই অবহিত।”-(সূরা আল বাকারা : ২৮-২৯)
এমন একটি সময় মানুষের ওপর দিয়ে অতিবাহিত হয়েছে যখন তার কোন অস্তিত্ব ছিলো না। অতপর অস্তিত্ব লাভ করেছে। আবার এ জীবন একদিন ছিনিয়ে নেয়া হবে, তারপর পুনরায় জীবিত করা হবে এবং প্রকৃত স্রষ্টা আল্লাহর দরবারে উপস্থিত করা হবে।
মানুষের জন্যই তিনি পৃথিবীতে বিভিন্ন ধরনের নিয়ামত প্রদান করেছেন। সাতটি আসমান সৃষ্টি করে ছাদের মতো বানিয়েছেন। তিনি সকল জ্ঞানের আধার। মানুষের যাবতীয় প্রয়োজন সম্পর্কে পূর্ণ ওয়াকিফহাল। তিনি যেসব নবী-রাসূল পাঠিয়েছেন, তাদের প্রতি বিশ্বাসস্থাপন করাই বুদ্ধিমানের কাজ ৷
এতেই মানবতার কল্যাণ নিহিত। যে ব্যক্তি মুক্ত মনে এগুলো দেখবে এবং এগুলো নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করবে সে কী করে তাঁর দীনকে অস্বীকার করতে পারে ?
কাফিররা অন্ধকারে ঘুরপাক খায়
وَالَّذِينَ كَفَرُوا أَولِيتُهُمُ الطَّاغُوتُ يُخْرِجُونَهُم مِّنَ النُّورِ إِلَى الظُّلمت ،
“যারা কাফির, তাদের নিয়ন্ত্রক হচ্ছে তাগুত । ওটা তাদেরকে আলো থেকে অন্ধকারের দিকে নিয়ে যায়।” -(সূরা আল বাকারা : ২৫৭ )
কাফিররা আল্লাহ্র হিদায়াত থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে শয়তান, নফ্স, কামনা-বাসনা, সমাজ ও রাষ্ট্র ইত্যাদির খপ্পরে পড়ে যায় । ফলে অন্যায় অনাচার, অশ্লীলতা, সীমালংঘন প্রভৃতির আঁধারে ঘুরপাক খায় ৷
কাফিররা সৃষ্টির মধ্যে নিকৃষ্টতম
إِنَّ شَرَّ الدَّوَابِ عِنْدَ اللهِ الَّذِينَ كَفَرُوا فَهُمْ لَا يُؤْمِنُونَ (الانفال : ٥٥)
“আল্লাহ্র গোটা সৃষ্টি রাজ্যে সবচেয়ে নিকৃষ্টতম হচ্ছে তারা, যারা কুফরীর রাস্তা অবলম্বন করেছে। তারা কখনো ঈমান আনবে না ।”আনফাল : ৫৫
কুফর উভয় জগতে ধ্বংসের কারণ
فَأَمَّا الَّذِينَ كَفَرُوا فَأَعَذِّبُهُمْ عَذَابًا شَدِيدًا فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ وَمَا لَهُمْ
“যারা কুফরীর পথ অবলম্বন করেছে আমি তাদেরকে দুনিয়া ও আখিরাতে কঠিন শাস্তি দেবো, তখন তারা কোন সাহায্যকারী পাবে না।”
-(সূরা আলে ইমরান : ৫৬)
অর্থাৎ আল্লাহর শাস্তি থেকে বাঁচানোর ক্ষমতা সেদিন কারো থাকবে না ।
কাফিররা হিদায়াত ও মাগফিরাত থেকে বঞ্চিত
إنَّ الَّذِينَ كَفَرُوا وَظَلَمُوا لَم يَكن اللهُ لِيَغْفِرَ لَهُمْ وَلَا لِيَهْدِيهِمْ طَرِيقان الا
طَرِيقَ جَهَنَّمَ خُلدِينَ فِيهَا أَبَدًا ، وَكَانَ ذَلِكَ عَلَى اللَّهِ يَسيران
“যারা কুফরী ও অত্যাচারের পথকে বেছে নিয়েছে, আল্লাহ্ কখনো তাদেরকে ক্ষমা করবেন না এবং সফলতার রাস্তা দেখাবেন না। তাদের
কাফিররা নির্বোধ জন্তু-জানোয়ারের মতো
কাফিরদের আমল নিষ্ফল
وَ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡۤا اَعۡمَالُهُمۡ کَسَرَابٍۭ بِقِیۡعَۃٍ یَّحۡسَبُهُ الظَّمۡاٰنُ مَآءً ؕ حَتّٰۤی اِذَا جَآءَهٗ لَمۡ یَجِدۡهُ شَیۡئًا وَّ وَجَدَ اللّٰهَ عِنۡدَهٗ فَوَفّٰىهُ حِسَابَهٗ ؕ وَ اللّٰهُ سَرِیۡعُ الۡحِسَابِوَمَنْ يَكْفُرْ بِالْإِيْمَانِ فَقَدْ حَبِطَ عَمَلَهُ ، وَهُوَ فِي الْآخِرَةِ مِنَ الْخَسِرِينَ .
“যে ব্যক্তি ঈমানকে অস্বীকার করবে তার যাবতীয় কর্ম নিষ্ফল হয়ে যাবে। সে পরকালে দেউলিয়া হয়ে ওঠবে।”-(সূরা আল মায়েদা: ৫)
ঈমান বর্জিত সকল পুণ্য নিষ্ফল
قُلْ هَلْ نُنَبِّئُكُمْ بِالْأَخْسَرِينَ أَعْمَالاًة الذينَ ضَلَّ سَعَيهُمْ فِي الْحَيِّرةِ الدُّنْيَا وَهُمْ يَحْسَبُونَ أَنَّهُمْ يُحْسِنُونَ صَنْعًا أُولَئِكَ الَّذِيْنَ كَفَرُوا بِأَيْتِ رَبِّهِمْ وَلِقَائِهِ فَحَبِطَتْ أَعْمَالُهُمْ فَلَا نُقِيمُ لَهُمْ يَوْمَ الْقِيمُةِ وَزُنًا (الكهف : ١٠٣-١٠٥)
“বলো, আমি কি তোমাদেরকে সেসব লোকের সংবাদ দেবো যারা কর্মের দিক দিয়ে খুবই ক্ষতিগ্রস্ত ?
তারাই সেই লোক, দুনিয়ায় যাদের যাবতীয় প্রচেষ্টা বিভ্রান্ত হয়, অথচ তারা মনে করে যে, তারা সৎকর্মই করে যাচ্ছে, তারাই সেই লোক যারা তাদের পালনকর্তার নিদর্শনাবলী এবং তাঁর সাথে সাক্ষাতের বিষয়কে অস্বীকার করে।
ফলে তাদের সকল কর্মই নিষ্ফল হয়ে যায় । সুতরাং কিয়ামতের দিন আমি সেগুলোকে পরিমাপেই আনবো না । -(সূরা আল কাহ্ফ : ১০৩-১০৫ )
اجَعَلْتُمْ سِقَايَةَ الْحَاجِ وَعِمَارَةَ الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ كَمَنْ أَمَنَ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الأخر وجهَدُ في سَبِيلِ اللهِ لا يَستَونَ عِندَ اللهِ ، وَاللهُ لا يَهْدِي القَوْمَ الظلمين الذينَ آمَنُوا وَهَاجَرُوا وَجهَدُوا فِي سَبِيلِ اللَّهِ بِأَمْوَالِهِمْ وَأَنْفُسِهِمْ لا أَعْظَمُ دَرَجَةً عِنْدَ اللهِ ، وَأَوْلَئِكَ هُمُ الْفَائِزُونَ (التوبة : ١٩-٢٠)
“তোমরা কি হাজীদের পানি সরবরাহ ও মসজিদুল হারাম আবাদকে সেই লোকের সমান মনে করো। যে ঈমান রাখে আল্লাহ্ ও পরকালের ওপর এবং আল্লাহর পথে জিহাদ করে।
এরা কখনো আল্লাহ্র দৃষ্টিতে সমান নয় । আল্লাহ্ যালিমদেরকে হিদায়াত করেন না। যারা ঈমান এনেছে, দেশ ত্যাগ করেছে এবং জান-মাল দিয়ে আল্লাহ্র পথে জিহাদ করেছে, তাদের বিরাট মর্যাদা রয়েছে আল্লাহ্র কাছে । প্রকৃতপক্ষে তারাই সফল।”
-(সূরা আত তাওবা : ১৯-২০)
ঈমান হচ্ছে সমস্ত পুণ্যের মূল। ঈমান ছাড়া যতো সুন্দর ও চাকচিক্যময় আমলই করা হোক না কেন আল্লাহর নিকট তার কানাকড়ি মূল্যও নেই।
কাফিরদের লাঞ্ছনাময় পরিণতির চিত্র
وَ قُلِ الۡحَقُّ مِنۡ رَّبِّکُمۡ ۟ فَمَنۡ شَآءَ فَلۡیُؤۡمِنۡ وَّ مَنۡ شَآءَ فَلۡیَکۡفُرۡ ۙ اِنَّاۤ اَعۡتَدۡنَا لِلظّٰلِمِیۡنَ نَارًا ۙ اَحَاطَ بِهِمۡ سُرَادِقُهَا ؕ وَ اِنۡ یَّسۡتَغِیۡثُوۡا یُغَاثُوۡا بِمَآءٍ کَالۡمُهۡلِ یَشۡوِی الۡوُجُوۡهَ ؕ بِئۡسَ الشَّرَابُ ؕ وَ سَآءَتۡ مُرۡتَفَقًا
“বলো, সত্য তোমাদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে আগত। অতএব যার ইচ্ছে বিশ্বাস করুক এবং যার ইচ্ছে অমান্য করুক। আমি যালিমদের জন্য অগ্নি তৈরী করে রেখেছি, যার বেষ্টনী তাদেরকে বেষ্টন করে রাখবে ।
যদি তারা পানীয় প্রার্থনা করে, তবে পুঁজের ন্যায় পানীয় দেয়া হবে যা তাদের মুখমণ্ডলকে দগ্ধ করে দেবে। কতো নিকৃষ্ট পানীয় এবং কতো নিকৃষ্ট তাদের আশ্রয়স্থল।”-(সূরা আল কাহফ : ২৯)
هُذْنِ خَصْمَنِ اخْتَصَمُوا فِى رَبِّهِمْ ، فَالَّذِينَ كَفَرُوا قُطَّعَتْ لَهُمْ ثِيَابٌ مِّنْ نَّارٍ يُصَبُّ مِنْ فَوْقِ رَأْسِهِمُ الْحَمِيمُ
يُصْهَرَ بِهِ مَا فِي بُطُونِهِمْ وَالْجُلُودُه
وَلَهُمْ مَّقَامِعُ مِنْ حَدِيدٍ
کُلَّمَاۤ اَرَادُوۡۤا اَنۡ یَّخۡرُجُوۡا مِنۡهَا مِنۡ غَمٍّ اُعِیۡدُوۡا فِیۡهَا ٭ وَ ذُوۡقُوۡا عَذَابَ الۡحَرِیۡقِ
“এই দুই বাদী বিবাদী (অর্থাৎ কাফির ও মু'মিনদল), তারা তাদের পালনকর্তা সম্পর্কে বিতর্ক করে। তাই যারা কাফির তাদের জন্য আগুনের পোশাক তৈরী করা হয়েছে। তাদের মাথার ওপর ফুটন্ত পানি ঢেলে দেয়া হবে।
ফলে তাদের পেটে যা আছে তা এবং চামড়া গলে বেরিয়ে যাবে ।
তাদের জন্য আছে লোহার হাতুরী।
যখনই তারা যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে জাহান্নাম থেকে বের হতে চাইবে, তখনই তাদেরকে সেখানে ফিরিয়ে দেয়া হবে এবং বলা হবে : দহন হওয়ার মজা বুঝ।”
-(সূরা আল হাজ্জ : ১৯-২২)
কুফরী অবস্থায় মৃত্যুবরণকারীর প্রতি আল্লাহ্ ও সমস্ত সৃষ্টির অভিসম্পাত
إِنَّ الَّذِينَ كَفَرُوا وَمَا تُوا وَهُمْ كُفَّارُ أُولَئِكَ عَلَيْهِمْ لَعْنَةُ اللَّهِ وَالْمَلْئِكَةِ وَالنَّاسِ أَجْمَعينَه خُلدِينَ فِيهَا ، لا يُخَفَّفُ عَنْهُمُ الْعَذَابُ وَلَاهُم يُنظَرُونَ
“নিশ্চয়ই যারা কুফরী করে এবং কাফির অবস্থায়ই মৃত্যুবরণ করে, তাদের প্রতি আল্লাহ্, ফেরেশতা ও সমস্ত মানুষের অভিসম্পাত।
তারা চিরকাল অভিশপ্ত জীবনযাপন করবে। তাদের ওপর থেকে কখনো শাস্তিকে হাল্কা করা হবে না কিংবা বিরামও দেয়া হবে না । ”
-(সূরা আল বাকারা : ১৬১-১৬২)
দুনিয়ার জীবন মাত্র একবারের জন্যই। মানুষকে সুযোগ দেয়া হয়েছে, হয় সে ঈমান এনে আল্লাহ্র আনুগত্যে মস্তক অবনত করে দেবে, না হয় সে কুফরীর জীবনকে বেছে নিয়ে বিদ্রোহী হয়ে ওঠবে।
যদি কুফরীর জীবন অবলম্বন করে দুনিয়ার আরাম আয়েশ ভোগ-বিলাস সবকিছু পেয়েও যায় কিন্তু কুরআনের দৃষ্টিতে তা হচ্ছে বরবাদীর রকমফের মাত্র।
আর এ অবস্থায়ই যদি মৃত্যু হয়ে যায় তবে পরবর্তী জীবন হবে তার জন্য অভিশপ্ত জীবন। সেই অভিশাপ আল্লাহ্ ও ফেরেশতা এবং সকল মানুষের পক্ষ থেকে । জাহান্নামের শাস্তি তার জন্য অবধারিত। সেই শাস্তি চলবে অব্যাহতভাবে। কখনো তা হালকা করা হবে না। ঈমান এনে সে শাস্তি থেকে অব্যাহতি লাভের কোন সুযোগই সেখানে আর থাকবে না ।
মৃত্যুর পর কাফিরদের আর্তচিৎকার
وَ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا لَهُمۡ نَارُ جَهَنَّمَ ۚ لَا یُقۡضٰی عَلَیۡهِمۡ فَیَمُوۡتُوۡا وَ لَا یُخَفَّفُ عَنۡهُمۡ مِّنۡ عَذَابِهَا ؕ کَذٰلِکَ نَجۡزِیۡ کُلَّ کَفُوۡرٍ
وَ هُمۡ یَصۡطَرِخُوۡنَ فِیۡهَا ۚ رَبَّنَاۤ اَخۡرِجۡنَا نَعۡمَلۡ صَالِحًا غَیۡرَ الَّذِیۡ کُنَّا نَعۡمَلُ ؕ اَوَ لَمۡ نُعَمِّرۡکُمۡ مَّا یَتَذَکَّرُ فِیۡهِ مَنۡ تَذَکَّرَ وَ جَآءَکُمُ النَّذِیۡرُ ؕ فَذُوۡقُوۡا فَمَا لِلظّٰلِمِیۡنَ مِنۡ نَّصِیۡرٍ
“যারা কাফির তাদের জন্য রয়েছে জাহান্নামের আগুন। তাদেরকে মৃত্যুর আদেশ দেয়া হবে না যে, মরে যাবে এবং তাদের শাস্তিও লাঘব করা হবে না ।
যারা অকৃতজ্ঞ তাদের প্রত্যেককে আমি এভাবেই শাস্তি দিয়ে থাকি । সেখানে তারা আর্তচিৎকার করে বলবে, হে আমাদের পালনকর্তা আমাদেরকে এখান থেকে বের করে দিন আমরা সৎকাজ করবো, পূর্বে যা করতাম তেমনটি আর করবো না।
(আল্লাহ্ বলবেন—) আমি কি তোমাদেরকে এতোটা বয়স দেইনি, যাতে যা চিন্তা করার বিষয় তা চিন্তা করতে পারতে ?
উপরন্তু তোমাদের কাছে সতর্ককারীও আগমন করেছিলো । অতএব স্বাদ আস্বাদন করতে থাকো। যালিমদের জন্য কোন সাহায্যকারী নেই।”-(সূরা আল ফাতির : ৩৬-৩৭)