নামাযের ওয়াজিব কয়টি ? বিস্তারিত জানতে পোষ্ট টি পড়ুন।
ওয়াজিব কি?
ওয়াজিব এমন বিষয় যা মান্য করা মুসলমানদের জন্য অবশ্য কর্তব্য এবং যা না মানলে বা পালন করলে বড় গুনাহ হবে।
নামাজের ওয়াজিব কি?
নামাজের ওয়াজিব হলো নামাজে পালন করা হয় এমন কতেক নিয়ম, যা একজন নামাজীকে আবশ্যিক ভাবে পালন করতে হয়। একজন নামাজী ইচ্ছাকৃতভাবে ওয়াজিব তরক করলে তার নামাজ হবে না।
আর অনিচ্ছাকৃত বা ভুলে যদি কেউ ওয়াজিব তরক করে বা ছেড়ে দেয় তাহলে সিজদায়ে সাহু বা ভুলের জন্য সালাম ফিরানোর পূর্বে অতিরিক্ত দুটি সেজদা দেয়া সাপেক্ষে ঐ ব্যক্তির নামাজ শুদ্ধ হবে।
নামাজের ওয়াজিব কয়টি? :
নামাজের ওয়াজিবগুলো নিচে ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরা হলো-
১। সূরা ফাতিহা সম্পূর্ণ পড়া ।
২। সূরা ফাতেহার সাথে অন্য কোন সূরা (কিংবা বড় এক আয়াত অথবা ছোট তিন আয়াত) মিলানো)
৩। ফরয নামাযের প্রথম দুই রাকাতে সূরা মিলানো; ৩য় রাকাত থেকে শুধু সূরা ফাতিহা পড়া (ফরয ব্যতীত বাকী সব নামাযের প্রতি রাকাতেই সূরা মিলাতে হবে)
৪। রুকুতে দেরি করা
৫। রুকু থেকে সোজা হয়ে দাঁড়ায়ে দেরি করা।
৬। সেজদায় দেরি করা
৭। দুই সিজদার মাঝে সোজা হয়ে বসে দেরি করা
৮। প্রথম বৈঠক করা
৯। উভয় বৈঠকে আত্তাহিয়্যাতু পড়া
১০। বিতর নামাযে দু'আয়ে কুনুত পড়া
১১। ইমামের জন্য যোহর, আসর নামাযে কিরাত আস্তে পড়া এবং ফজর, মাগরিব, ঈশা, জুমুআ, দুই ঈদ, তারাবীহ ও রমযান মাসের বিতর নামাযে কিরাত জোরে পড়া। এছাড়া সুন্নাত ও দিনের বেলার নফল নামাযে কিরাত আস্তে পড়া।
১২। সালামের সাথে নামায শেষ করা
১৩। মুক্তাদিদের ইমামের অনুসরণ করা
১৪। ঈদের নামাযে অতিরিক্ত ছয় তাকবীর বলা
১৫। ধীরস্থিরভাবে রুকনগুলো আদায় করা।
১৬। ধারাবাহিকতার দিকে খেয়াল রাখা।