পৃথিবীতে সর্বোত্তম মানুষ কারা? আল কুরআনের আলোকে ঈমাদারদের প্রাপ্তি


আল কুরআনের আলোকে মানুষের প্রকারভেদ

কুরআনুল হাকীম গোটা বিশ্ববাসীকে দু'টো দলে বিভক্ত করে দিয়েছে । 

(১) ঈমানদার (তথা মু'মিন) ।

(২) যারা ঈমানদার নয় (অর্থাৎ কাফির, মুশরিক, মুনাফিক)।

আল কুরআন পৃথিবীর সবকিছুকে সাক্ষ্য রেখে দাবী করছে যে, প্রকৃত কল্যাণ তো শুধু তারাই পাবে যারা ঈমান গ্রহণ করেছে। এরা আলোর পথের পথিক। সঠিক পথের ওপর প্রতিষ্ঠিত। হিদায়াত প্রাপ্ত দল। 

কল্যাণ ও মুক্তি, খায়ের ও বরকতের দ্বার তাদের জন্যই উন্মুক্ত। তারা এমন একটি অবলম্বনকে আঁকড়ে ধরেছে যা কখনো ভাঙ্গার বা ছিন্ন হবার মতো নয়। তাদের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব ঐ সত্তার ওপর ন্যস্ত যিনি ইল্ম ও হিদায়াতের কেন্দ্রবিন্দু এবং শক্তি ও ক্ষমতার আধার । 

তিনি ঈমানদারদেরকে অন্ধকার থেকে আলোর দিকে পথ দেখান এবং নিজের রহমতের চাদরে আবৃত করে নেন ।

প্রথম দল তাদের চোখ কান খুলে রেখে পূর্ণ অনুভূতির সাথেই পৃথিবীতে বিচরণ করছে। সৃষ্টির পরতে পরতে আল্লাহ্র অস্তিত্ব ও নিয়ামত অনুভব করছে। 


ঈমানদারগণ সৃষ্টির মধ্যে সর্বোত্তম

إِنَّ الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّلِحَتِ أُولَئِكَ هُمْ خَيْرُ الْبَرِيَّةِ (البينة : ٧)

“যারা ঈমান আনে এবং সৎকাজ করে, তারাই সৃষ্টির সেরা।”

অর্থাৎ সৃষ্টির মধ্যে সর্বোত্তম তারাই, যারা যথার্থভাবে আল্লাহ্কে চিনে, বিশ্বাস করে এবং তাঁরই ইচ্ছে মতো জীবনযাপন করে ।


ঈমানের বিনিময় ধারা অব্যাহত: ঈমানদারগণ ধারাবাহিক ঈমানের ফল ভোগ করেন

أَلَمْ تَرَ كَيْفَ ضَرَبَ اللهُ مَثَلاً كَلِمَةٌ طَيِّبَةً كَشَجَرَةٍ طَيِّبَةٍ أَصْلُهَا ثَابِتُ وفَرْعُهَا فِي السَّمَاءِ تُؤْتِي أكُلَهَا كُلِّ حِينِ بِإِذْنِ رَبِّهَا ، وَيَضْرِبُ اللَّهُ الْأَمْثَالَ لِلنَّاسِ لَعَلَّهُمْ يَتَذَكَّرُونَ (ابراهيم: ٢٤-٢٥)

“তুমি কি লক্ষ্য করো না। আল্লাহ্ কেমন উপমা বর্ণনা করেছেন ? পবিত্র বাক্য হলো পবিত্র বৃক্ষের মতো। তার শিকড় মযবুত এবং শাখা আকাশে বিস্তৃত। সে পালনকর্তার নির্দেশে অহরহ ফল দান করে । আল্লাহ্ মানুষের জন্য বিভিন্ন দৃষ্টান্ত বর্ণনা করেন যাতে তারা চিন্তা-ভাবনা করার অবকাশ পায়।”-(সূরা ইবরাহীম : ২৪-২৫)


পবিত্র বাক্য মানে ঈমান ও ইয়াকীন। যার বিশাল বৃক্ষ মনের জমিনে দৃঢ়তার সাথে দাঁড়িয়ে থাকে। 

মযবুত শিকড় অর্থ তাদের বিশ্বাস কোন ঠুনকো বস্তু নয় কিংবা তারা দ্বিধাদ্বন্দ্বে দুদোল্যমান নয় বরং সত্যের ওপর অবিচল, দৃঢ় । 

তাদের পবিত্রতা ও চরিত্র মাধুর্য আসমান পর্যন্ত বিস্তৃত । তারা তাদের আমলের দ্বারা আল্লাহর নিকট বিরাট মর্যাদা লাভ করে। 

সে আমল ফলপ্রসু, যেমনিভাবে বৃক্ষ ফলবান হয় । তার কল্যাণ ও বরকতে সমস্ত জীবন কানায় কানায় ভরে ওঠে।



ঈমানের প্রতিদানের বিশালতা

جَزَاءُ هُمْ عِنْدَ رَبِّهِمْ جَنَّتُ عَدْنٍ تَجْرِي مِنْ تَحْتِهَا الْأَنْهُرُ خُلِدِينَ فِيهَا أَبَدًا حَ رضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ وَرَضُوا عَنْهُ ، ذَلِكَ لِمَنْ خَشِيَ رَبَّة البينة : (٨)

“তাদের পালনকর্তার কাছে রয়েছে তাদের জন্য প্রতিদান। চিরকাল বসবাসের জন্য জান্নাত, যার নিম্নদেশ দিয়ে প্রবাহিত বিভিন্ন ধরনের নদী- নালা। তারা সেখানে থাকবে অনন্তকাল। আল্লাহ্ তাঁদের প্রতি সন্তুষ্ট এবং ...তাঁরা আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট। এ মর্যাদা শুধু তার যে পালনকর্তাকে ভয় করে।”-(সূরা আল বাইয়্যিনাহ : ৮)


ঈমানদারদের উচ্চমর্যাদা

وَمَنْ يَّاتِهِ مُؤْمِنًا قَدْ عَمِلَ الصَّلِحَتِ فَأُولَئِكَ لَهُمُ الدَّرَجَتُ الْعُلَى جَنْتُ عَدْنٍ تَجْرِي مِنْ تَحْتِهَا الْأَنْهَرُ خُلِدِينَ فِيهَا ، وَذَلِكَ جَزْءًا مَنْ تَزَكَّى

“আর যারা তার কাছে আসে, এসে ঈমানদার হয়ে যায় এবং সৎকাজ করে তাদের জন্য রয়েছে উচ্চমর্যাদা। বসবাসের জন্য রয়েছে এমন ঘনো সন্নিবেশিত বাগান যার তলদেশ দিয়ে নদী প্রবহমান। সেখানে তারা চিরদিন থাকবে। এতো তাদের পুরস্কার, যারা পবিত্রতা অবলম্বন করে ।” -(সূরা ত্বা-হা : ৭৫-৭৬)



ঈমানদারদের জন্য পছন্দসই নজরকাড়া নিয়ামত

الَّذِينَ آمَنُوا بِأيتِنَا وَكَانُوا مُسْلِمِينَ ادْخُلُوا الْجَنَّةَ أَنْتُمْ وَأَزْوَاجُكُمْ تُخبرون يُطَافُ عَلَيْهِمْ بِصِحَافَ مَن ذَهَبٍ وَأَكْوَابٍ وَفِيهَا مَا تَشْتَهِيهِ الْأَنْفُسُ وَتَلَذُّ الأعينُ ، وَأَنْتُمْ فِيهَا خَلِدُونَ وَتِلْكَ الْجَنَّةُ الَّتِي أُورِثْتُمُوا هَا بِمَا كُنتُمْ تَعْمَلُونَ لَكُم فيها فاكهة كثيرة منها تَأْكُلُونَ (زخرف : ٦٩-٧٣)


“(সেদিন বলা হবে:) তোমরা আমার আয়াতসমূহ বিশ্বাস করেছিলে এবং তোমরা ছিলে মুসলিম (পূর্ণ অনুগত) । আজ তোমরা তোমাদের স্ত্রীদেরকে নিয়ে জান্নাতে প্রবেশ করো, সানন্দে । স্বর্ণের থালা গ্লাসে তাদের পরিবেশন করা হবে। সেখানকার সবকিছু মনোরম ও নয়নাভিরাম। সেটি তোমাদের চিরদিনের বাসস্থান। (বলা হবে:) এই যে জান্নাতের অধিকারী তোমরা হয়েছো, এটি তোমাদের কৃতকর্মের বিনিময়। এখানে তোমাদের জন্য রয়েছে প্রচুর ফল-মূল, তোমরা সেগুলো খাবে।”


ঈমান অবিচ্ছিন্ন এক অবলম্বন

فَمَنْ يُكْفُرْ بِالطَّاغُوتِ وَيُؤْمِنْ بِاللَّهِ فَقَدِ اسْتَمْسَكَ بِالْعُرْوَةِ الْوُثْقَى .


“যে তাগুতকে অস্বীকার করে আল্লাহর ওপর ঈমান আনলো সে এমন একটি মযবুত অবলম্বন পেলো যা কখনো ছিন্ন হবার নয় ।”

তাগুত বলতে ঐ শক্তিকে বুঝানো হয়েছে যারা লোকদেরকে আল্লাহ্ আনুগত্যের পরিবর্তে তাদের আনুগত্য করতে বাধ্য করে ।


ঈমান মুমিনদের জন্য হাশরের ময়দানের নূর হবে

يَوْمَ تَرَى الْمُؤْمِنِينَ وَالْمُؤْمِتِ يَسْعَى نُورُهُم بَيْنَ أَيْدِيهِمْ وَبِأَيْمَانِهِم بُشْرَكُمُ الْيَوْمَ جَنَّتُ تَجْرِى مِنْ تَحْتِهَا الأَنْهرُ خُلدِينَ فِيهَا ، ذلِكَ هُوَ الْفَوْزُ الْعَظِ

“সেদিন তুমি দেখবে ঈমানদার পুরুষ ও মহিলাদের সামনে ও ডানে তাদের [ ঈমানের] জ্যোতি ছুটাছুটি করবে। বলা হবে—আজ তোমাদের জন্য সুসংবাদ [এমন] বাগানের যার নিম্নদেশে রয়েছে প্রবহমান নদী-নালা । [তা হচ্ছে] চিরস্থায়ী আবাস। এ তো মহাসাফল্য।” -(সূরা আল হাদীদ : ১২)


ঈমানদারগণ আলোর পথের পথিক

اللَّهُ وَلِيُّ الَّذِينَ آمَنُوا لا يُخْرِجُهُمْ مِنَ الظُّلُمتِ إِلَى النُّورِ (البقرة : ٢٥٧)

“ঈমানদারদের অভিভাবক আল্লাহ্। তিনি তাদেরকে অন্ধকার থেকে আলোর দিকে নিয়ে যান।”-(সূরা আল বাকারা : ২৫৭)


অর্থাৎ শির্ক, কুফরী ও গুনাহ্র পাপ-পঙ্কিলতা ও অন্ধকার থেকে আল্লাহ্ তাদেরকে হিফাযতে রাখেন। আর তারা ঈমানের জ্যোতিতে প্রশান্তিময় জীবনযাপন করেন ।


اوَمَنْ كَانَ مَيْتًا فَأَحْيَيْنَهُ وَجَعَلْنَا لَهُ نُورًا يَمْشِي بِهِ فِي النَّاسِ كَمَنْ مَّثَلُهُ فِي

الظُّلُمتِ لَيْسَ بِخَارِجَ مِّنْهَا - (الانعام : ۱۲۲)

“যে মৃত ছিলো আমি তাকে জীবিত করেছি এবং তাকে এমন একটি আলো দিয়েছি, যা নিয়ে সে মানুষের মধ্যে চলাফেরা করে। সে কি তার মতো হতে পারে যে অন্ধকারে রয়েছে— সেখান থেকে বের হতে পারছে না ?”- (সূরা আল আনআম : ১২২)


এখানে মৃত বলতে কুফুর ও জিহালতের জীবনকে বুঝানো হয়েছে। আর জীবন বলতে ঈমানকে বুঝানো হয়েছে। জ্যোতি বলতে ভালো ও মন্দের পার্থক্যকারী ইলমের কথা বলা হয়েছে।


ঈমানদারগণ শয়তানের প্রভাবমুক্ত থাকেন

انه لَيْسَ لَهُ سُلْطَنَّ عَلَى الَّذِينَ آمَنُوا وَعَلَى رَبِّهِمْ يَتَوَكَّلُونَ

“শয়তানের আধিপত্য চলে না শুধু তাদের ওপর যারা ঈমান এনেছে এবং আল্লাহ্ ওপর ভরসা রাখে।”-(সূরা আন নাহল : ৯৯)


অর্থাৎ যারা আল্লাহ্ ওপর ঈমান আনে এবং শুধু তাঁর ওপর ভরসা রাখে তাদেরকে স্বয়ং আল্লাহ্ হিফাজতের দায়িত্ব নেন। 

শয়তানতো তাদের ওপর বিজয়ী হয় যারা আল্লাহকে পরওয়া করে না, আল্লাহকে বাদ দিয়ে অন্যদেরকে আল্লাহর আসনে সমাসীন করে ।


প্রকৃত মর্যাদা ঈমানদারদের জন্য

وَبَشِّرِ الَّذِينَ آمَنُوا أَنْ لَهُمْ قَدَمَ صِدْقٍ عِنْدَ رَبِّهِمْ - - (يونس : ٢ 

“যারা ঈমান এনেছে তাদেরকে সুসংবাদ শুনিয়ে দাও যে, তাদের রবের নিকট তাদের সম্মান ও মর্যাদা রয়েছে।” -(সূরা ইউনুস : ২)


অন্য কথায় প্রকৃত মর্যাদার উৎস হচ্ছে ঈমান। যারা ঈমান থেকে বঞ্চিত তাদের জন্যই যাবতীয় লাঞ্ছনা ।





ঈমান শাস্তি থেকে বাঁচার ব্যবসা

يايُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا هل أدلكم على تجارة تُنْجِيكُمْ مِّنْ عَذَابِ اليمن تُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ وَرَسُولِهِ وَتُجَاهِدُونَ فِي سَبِيْلِ اللَّهِ بِأَمْوَالِكُمْ وَأَنْفُسِكُمْ ،

ذلِكُمْ خَيْرُ لَكُمْ إِن كُنتُمْ تَعْلَمُونَ (الصف : ١٠-١١)

“হে ঈমানদারগণ ! আমি কি তোমাদেরকে এমন একটি ব্যবসার সংবাদ দেবো না, যে ব্যবসার বিনিময়ে তোমরা যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি থেকে মুক্তি পাবে ?

 তাহলে তোমরা ঈমান আনো আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলের ওপর এবং জান-মাল দিয়ে আল্লাহর পথে জিহাদ করো। এটিই তোমাদের জন্য কল্যাণকর যদি তোমরা বুঝো।”-(সূরা আস্ সফ : ১০-১১ )


জান এবং মাল হচ্ছে একজন মানুষের পূর্ণাঙ্গ পুঁজি। যদি সে ইচ্ছে করে তবে সেই পুঁজি দিয়ে ঈমান অর্জন করবে অথবা ইচ্ছে করলে কুফরী অর্জন করতে পারবে।

এ আচরণকে আল কুরআনে ব্যবসার সাথে তুলনা করা হয়েছে। সফল ব্যবসা হচ্ছে, ঈমান আনার পর জান-মালের এ পুঁজিকে আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলের পথে বিনিয়োগ করা । তবেই পাওয়া যাবে পরকালের যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি থেকে পরিত্রাণ। 

এটি এমন এক সফলতা যা কখনো ব্যর্থতার গ্লানিতে ঢেকে যাবে না। রাসূলে আকরাম (সা) বলেছেন : ‘প্রত্যেক লোক সকালে ওঠেই নিজেকে ক্রয়-বিক্রয়ে লিপ্ত করে দেয়। তার মধ্যে কতিপয় লোক নিজকে মুক্ত করতে সক্ষম হয় আবার কতিপয় লোক নিজকে ধ্বংস করে দেয়।'


অর্থাৎ যে ব্যক্তি নিজের জান, মাল, শক্তি, সামর্থ প্রভৃতিকে আল্লাহ্ পথে পরিচালিত করে সে মুক্তি পেয়ে যায়। আর যে ব্যক্তি এগুলোকে আল্লাহর নাফরমানীমূলক কাজে নিয়োজিত রাখে সে নিজেকে নিজেই ধ্বংসের দ্বার প্রান্তে নিয়ে যায় ।


ঈমান দুনিয়ার শাস্তি থেকেও বাঁচিয়ে রাখে

وَلَمَّا جَاءَ أَمْرُنَا نَجَّيْنَا هُودًا وَالَّذِينَ آمَنُوا مَعَهُ بِرَحْمَةٍ مِّنَّا وَنَجَّيْنَهُم مِّنْ عَذَابٍ غَلِيظ (هود : ٥٨)

“যখন আমার নির্দেশ এসে গেলো, তখন নিজের রহমতে আমি হুদকে এবং যারা হুদের সাথে ঈমান এনেছিলো তাদেরকে বাঁচিয়ে দিলাম । আমি মূলত তাদেরকে কঠিন শাস্তি থেকেই বাঁচিয়ে দিলাম।”-(সূরা হুদ : ৫৮)


সূরা হুদে পাশাপাশি অনেক নবীর দাওয়াত, প্রতিক্রিয়া ও শাস্তির আলোচনা এসেছে। তা থেকে একথাই প্রতীয়মান হয় যে, দুনিয়ার শাস্তি থেকেও বাঁচার একমাত্র অবলম্বন হচ্ছে ঈমান ।


ঈমান ভালো ও কল্যাণের মাধ্যম

وَلَوْ أَنَّ أَهْلَ الْقُرَى أَمَنُوا وَاتَّقَوْا لَفَتَحْنَا عَلَيْهِمْ بَرَكَتِ مِّنَ السَّمَاءِ وَالْأَرْضِ ولكن كَذَّبُوا فَأَخَذْتُهُمْ بِمَا كَانُوا يَكْسِبُونَ (الاعراف : (٩٦)


“যদি সে জনপদের অধিবাসীরা ঈমান আনতো এবং তাকওয়া অবলম্বন করতো তবে আমি তাদের জন্য আসমান ও জমিনের নিয়ামতের সমস্ত দ্বার উন্মুক্ত করে দিতাম। 

কিন্তু তারা মিথ্যে প্রতিপন্ন করলো। ফলে আমি তাদেরকে তাদের কৃতকর্মের জন্য পাকড়াও করলাম ।” -(সূরা আল আ'রাফ : ৯৬)


আল্লাহর নিয়ামতের প্রকৃত হকদার

قُل مَنْ حَرَّمَ زِينَةَ اللهِ الَّتى اَخْرَجَ لِعِبَادِهِ وَالطَّيِّبَتِ مِنَ الرِّزْقِ قُلْ هِيَ لِلَّذِينَ آمَنُوا فِي الحَياةِ الدُّنْيَا خَالِصَةً يَوْمَ الْقِيمَةِ .


“বলো, আল্লাহ্ সাজ-সজ্জাকে — যা তিনি বান্দার জন্য সৃষ্টি করেছেন এবং পবিত্র খাদ্যসমূহকে কে হারাম করলো ? বলে দাও, এসব নিয়ামত পার্থিব জীবনেও মু'মিনদের জন্য এবং কিয়ামতের দিন নির্দিষ্টভাবে তাদেরই জন্য।”-(সূরা আল আ'রাফ : ৩২)


অর্থাৎ আল্লাহ্ প্রদত্ত যাবতীয় নিয়ামত এবং সাজ-সজ্জা যা তিনি বান্দার জন্য সৃষ্টি করেছেন তার হকদার মূলত ঈমানদারগণ। কারণ তাদের দ্বারাই সম্ভব সেসব নিয়ামতের কদর এবং সঠিকভাবে তার ব্যবহার ।


এ হচ্ছে সৎ, ইবাদাতগুজার ও মুখলেস নাসারা আলেমদের চিত্র । তারা মূলত দীনে হকের ওপর প্রতিষ্ঠিত ছিলেন এবং সঠিকভাবে ইঞ্জিলের অনুসারী ছিলেন। যখন সর্বশেষ আসমানী কিতাব অবতীর্ণ হলো তখন তা শোনে তাদের চোখ অশ্রুশিক্ত হয়ে ওঠলো এবং অন্তর সাক্ষ্য দিলো— এটি সত্য গ্রন্থ । অতপর তারা নিসংকোচে ইসলাম কবুল করলেন ।


প্রবন্ধটির পিডিএফ ডাউনলোড করুন 👇



Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url