বিনা প্রয়ােজনে সতর খোলা ; ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি
ইসলামে সতর বা শরীরের যেটুকু অংশ ঢেকে রাখতে হয়
পুরুষের জন্য সতর হলো নাভী হতে হাটুর নীচ পর্যন্ত আর নারীদের সতর মাথা থেকে পা পর্যন্ত।
বিনা প্রয়ােজনে সতর খোলা
হাদীছে বর্ণিত হয়েছে যে, “নাভী থেকে হাঁটু পর্যন্ত পুরুষের সতর।” -(হাকিম)
হাদীছে এসেছে “নিজের সতর ঢাক। হাঁ নিজ স্ত্রী এবং বাঁদী ব্যতীত। জনৈক সাহাবা জিজ্ঞাসা করলেন, যদি কোন ব্যক্তি নির্জন স্থানে একা থাকে (তাহলে কি খুলতে পারবে)? ইরশাদ হলাে, আল্লাহ তা'আলা অধিক উপযুক্ত, তাই আল্লাহর সম্মুখে লজ্জাবােধ করা চাই। -(আবু দাউদ, তিরমিযী, ইবনে মাজা, নাসায়ী)
হাদীছের মধ্যে আরো বর্ণিত হয়েছে যে, (সাহাবীগণ বলেন) আমাদেরকে সতর দেখানাে থেকে নিষেধ করা হয়েছে।-(হাকিম যাওয়াযের ১ম খণ্ড ১০৪ পৃষ্ঠা)।
সতর্কবাণী: বর্তমানে নতুন ফ্যাশন এবং আধুনিকতা শুধু পুরুষ নয় মহিলাকেও অর্ধ উলঙ্গ করে ফেলেছে। পুরুষেরা ইংরেজদের ন্যায় হাফ প্যান্ট পরে এবং নিজকে গৌরাবান্বিত মনে করে। অর্ধেক উরু খুলে মা বােনদের সম্মুখে এবং সাধারণ মানুষের সম্মুখে চলাফেরা করে, কোন ভয় করে না। অথচ এটা প্রকৃত মালিকের অসন্তুষ্টি এবং কবীরা গুনাহ।
মহিলাগণ এমন কাপড় পরিধান করে যে এতে অনেক অঙ্গ যা ঢেকে রাখা ফরয (যেমন ঘাড়, বাহু এবং বুক) তা খুলা থাকে এবং যে সব অঙ্গ ঢাকা আছে এ গুলােও এমনভাবে ঢাকা যে দূর থেকেই উহার অবস্থা বুঝা যায়। তাই উহাও উলঙ্গেরই হুকুম রাখে।
আলিমগণ বলেছেন, মুসলমানদের উপর সর্বপ্রথম ফরয হলাে সতর ঢাকা, উহা কেবল নামাযে নয়; বরং সর্বাবস্থায় এমন কি নির্জনতার মধ্যে একাকি থাকাকালীন সময়েও ফরয, তবে কয়েকটি স্থানে প্রয়ােজনে খুলা যায়। কিন্তু কিছু সংখ্যক লােক পাশ্চাত্যের ফ্যাশনে বন্যায় ভেসে ফরযকে উপেক্ষা করে চলছে। আর কিছু লােক দিন মজুর কৃষক, শ্রমিক তারাও এমন পদ্ধতি গ্রহণ করেছে যাতে সতর খুলে যায়। এ সব হলাে কবীরা গুনাহর ভান্ডার, অনুপকারী গুনাহ। দুন্ইয়ার কোন প্রয়ােজন ও স্বাদ এর উপর নির্ভর করে না।