দুশ্চিন্তা করবেন না -ড. আয়েদ আল-ক্বারনী
দুশ্চিন্তা করবেন না
দুশ্চিন্তা করবেন না। মনে করুন আপনার ছেলে পরীক্ষায় ফেল করেছে। আপনি পেরেশান হয়েছেন; দুশ্চিন্তা করেছেন। এতে ফায়দা কা হয়েছে? আপনার দুশ্চিন্তা কি তাকে পাস করিয়ে দিতে পেরেছে?
আপনার পিতা মারা গেছেন। আপনি শোকে কাতর হয়ে আছেন।
আপনার শোক কি তাঁকে ফিরিয়ে আনতে পারবে?
ব্যবসায় মার খেয়েছেন। আপনি বিমর্ষ হয়ে পড়লেন। আপনার বিমর্ষতা কি লোকসানকে লাভে পরিণত করতে পারবে?
দুশ্চিন্তা করবেন না। আপনি এক মসিবতে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়লে তা আরও মসিবত ডেকে আনবে। দরিদ্রতায় হতাশ হয়ে পড়লে অবস্থা আরও সংকীর্ণ হয়ে যাবে।
আপনি শত্রুদের কথায় দুশ্চিন্তায় ভুগলেন তো নিজের অজান্তে তাদেরকেই আক্রমণ করার জন্য সহযোগিতা করলেন।
আপনি বিশেষ কোনো দুর্ঘটনার আশঙ্কায় শঙ্কিত হয়ে আছেন, অথচ তা বাস্তবায়ন নাও হতে পারে।
দুশ্চিন্তা করবেন না। দুশ্চিন্তার সাথে আপনার প্রশস্ত বাড়ি, সুন্দরী স্ত্রী, ধন-সম্পদ
“তোমরা উভয়ে তোমাদের প্রতিপালকের কোন্ কোন্ অনুগ্রহকে অস্বীকার করবে?
[সূরা আর রহমান : ১৩]
আর সন্তান-সন্ততি কোনো কিছুই আপনার উপকারে আসবে না।
দুশ্চিন্তা করবেন না। দুশ্চিন্তা ও বিষণ্নতা ঠান্ডা পানিকে বিষ, গোলাপজলকে মুসাব্বর, মনোরম উদ্যানকে ঊষর মরুভূমি আর জীবনকে দুর্বিসহ এক জেলখানায় রূপান্তরিত করে দিবে।
দুশ্চিন্তা ও বিষণ্নতাকে আপনার কাছেই আসতে দিবেন না। আপনার দু'টি চোখ আছে। দু'টি কান আছে। দু'টি ঠোঁট আছে। দু'টি হাত আছে। দু'টি পা আছে। জিহ্বা আছে। শান্তি, নিরাপত্তা ও সুস্থ-সবল শরীর আছে। তবে আর কেন আপনার বিষণ্নতা?
আপনি দুশ্চিন্তা করবেন কেন? আপনার তো ধর্ম ও আকীদা-বিশ্বাসের নেয়ামত আছে। থাকার মতো একটি ঘর আছে। খাবার জন্য রুটি আছে। পান করার জন্য ঠান্ডা পানি আছে। পরিধান করার মতো কাপড় আছে। সঙ্গ দেওয়া ও মানসিক
প্রশান্তির জন্য স্ত্রী আছে। তারপরও আপনার দুশ্চিন্তা কীসের জন্য?