ইসলামের দৃষ্টিতে ‘বংশের কারনে কাউকে বিদ্রুপ করা’ -আল্লামা মুফতি মুহাম্মাদ শফি (রহ.)
আমাদের অনেকে সহজেই তার কাছের মানুষজনদের সাথে আচরণের ক্ষেত্রে বংশ বা পারিবারিক ত্রুটি বা অসংগতি নিয়ে একজন নিরপরাধ মানুষকে শুধু ঐ বংশ বা পরিবারে হওয়ার কারনে খোঁচা দেন। গালমন্দ করেন । অথচ তারা এতটুকু জানেন না যে, তারা এটির মাধ্যমে কতবড় অন্যায় করছেন।
বংশের কারণে কাউকে বিদ্রুপ করা
রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন যে,
বংশাবলী কারো জন্য গালি নয় এবং তোমরা সবাই আদমের সন্তান। প্রত্যেকেই একে অন্যের নিকটবর্তী। একজন অন্যজনের উপর কোন মর্যাদা নেই দ্বীন এবং সৎকর্ম ব্যতীত।
-(আহমদ এবং বায়হাকী বর্ণনা করেছেন)।
অন্য এক হাদীছে রাসূল (সা.) ইরশাদ করেনঃ
দু’টি জিনিসের ইচ্ছা করাও কুফর অর্থাৎ কুফরের নিকটবর্তী। একটি বংশের দ্বারা কারো দোষারূপ করা। দ্বিতীয়টি মৃত ব্যক্তির জন্য উচ্চ স্বরে ক্রন্দন করা।
-(মুসলিম ২য় খন্ডে ৫২ পৃষ্ঠা)।
কুরআনে করীমে ইরশাদ হচ্ছে ?
وَالَّذِينَ يُؤْذُونَ الْمُؤْمِنِينَ وَالْمُؤْمِنٰتِ بِغَيْرِ مَا اكْتَسَبُوا فَقَدِ احْتَمَلُوا بُهْتٰنًا وَإِثْمًا مُّبِينًا
“যারা কষ্ট দেয় মুমিন পুরুষদেরকে ও মুমিন নারীদেরকে কোন অর্জিত কারণ ছাড়াই, তারা নিঃসন্দেহে চাপিয়ে নিয়েছে নিজেদের ঘাড়ে একটি মিথ্যা অপবাদ ও প্রকাশ্য গুনাহের বোঝা।” (সূরাহ আল-আহযাব, আয়াত ৫৮)
যে ব্যক্তি অন্যকে তার বংশের কারণে বিদ্রুপ করে বলে যে, অমুক এমন বংশের লোক অথবা অমুকের ছেলে, সে ব্যক্তিও এ শাস্তির অন্তর্ভুক্ত। -(যাওয়াজের ২য় খন্ড ৫২ পৃষ্ঠা)
এটিও একটি কবীরা গুনাহ যা স্বাদহীন, অনুপকারী এবং পার্থিব কোন কাজ বা কর্ম তার উপর নির্ভর করে না। কিন্তু সাধারণ মানুষ এ বিষয়ে অনবহিত ও অমনোযোগী ।
অনেকে অনেক সম্প্রদায়কে, অনেক ব্যবসায়ীকে হেয় মনে করে এবং বিদ্রুপ করে অথবা এমন শব্দ দ্বারা সম্বোধন করে যাতে তার বংশের প্রতি ঘৃণা অবজ্ঞা প্রকাশ পায়। যেমন, কাউকে নাপিত, কসাই বা তাঁতি বলে ডাকা।
(আল্লাহ তা'আলা সকলকে এ প্রকারের গুনাহ থেকে রক্ষা করুন)।
আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের পোষ্ট
দেখে নিতে পারেন- |
|
ইসলামী
বিষয়সমূহ পেতে নিয়মিত ভিজিট করুন : www.su-path.com
ধন্যবাদ! আল্লাহ আপনার দুনিয়া-আখিরাতের
কল্যান করুন।