অন্যের দোষ খোঁজা ও অপমানকরার ভয়াবহ অপকারিতা
অন্যের দোষ খোঁজা
কুরআন শরীফে ইরশাদ হচ্ছে –
“কারো গোপনীয় দোষ অন্বেষণ করো না।”
হযরত আবদুল্লাহ বিন উমর (রাঃ) বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিম্বরে বসে খুতবায় ইরশাদ করলেন, যে ব্যক্তি শুধু মুখে মুসলমান হয়েছে কিন্তু তার অন্তরে ঈমান বদ্ধমূল হয়নি সে যেন কোন মুসলমানকে কষ্ট না দেয়, তাদের গোপনীয় দোষের পিছনে না পড়ে।
কাউকেও বিগত গুনাহর জন্য লজ্জা দেবেনা। কেননা, যে ব্যক্তি কোন মুসলমান ভাইয়ের দোষ-ত্রুটি অনুসন্ধান করে, আল্লাহ তার দোষ-ত্রুটি অনুসন্ধান করবেন এবং আল্লাহ তাআলা যার দোষ অনুসন্ধান করবেন খুবশ্রিঘ্রই তাকে অপমান করবেন যদিও সে নিজের বাড়িতে গোপন থাকুক।
-(তিরমিযী, জময়ুল ফাওয়ায়েদ)।
মুমিনের মর্যাদা
হযরত আবদুল্লাহ বিন উমর (রাঃ) একদা আল্লাহ তা'আলার ঘরের প্রতি তাকিয়ে বললেন, হে আল্লাহর ঘর! তোমার মাহাত্ম্য কত বড়, তোমার মর্যাদা কত উঁচু। মু'মিনের মর্যাদা ও সম্মান আল্লাহ তাআলার নিকট তোমার চেয়ে অধিক। -(তিরমিযী, জময়ুল ফাওয়ায়েদ)।
অন্যের দোষ গোপন রাখার ভালো ও না রাখার মন্দ
হাদীছ শরীফে আছে “এক
মুসলমান অপর মুসলমানের ভাই, তাই তার উপর অত্যাচার করা, তার দোষ অনুসন্ধান করা উচিত নয়।
যে
ব্যক্তি নিজের ভাইয়ের কোন কাজে সাহায্য করবে আল্লাহ তা'আলা তার কাজে সাহায্য করবেন।
যে
ব্যক্তি কোন মুসলমানকে বিপদ আপদ থেকে রক্ষা করবে আল্লাহ তা'আলা কিয়ামতের বিপদ থেকে তাকে রক্ষা করবেন।
যে
ব্যক্তি কোন মুসলমানের দোষ গোপন রাখবে আল্লাহ তা'আলা কিয়ামতের দিবসে তার দোষ গোপন রাখবেন।” -(তিরমিযী)
বর্তমানে কবীরা গুনাহ মহামারীর ন্যায় ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। সকল শ্রেণীর মানুষ এতে লিপ্ত হয়ে গেছে।
মানুষের গোপনীয় দোষের অনুসন্ধান, কোন একটি বিষয় পেলেই তার প্রচার করা, কাউকেও অপমান করা অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। কারো মনের মধ্যে একটুও বাঁধে না
যে এতে আমি, কোন গুনাহ করছি কি না?
এটিই স্বাদহীনবা লাভহীন গুনাহ যার মধ্যে কারো পার্থিব উপকার নেই, যদি এ গুনাহ সারা জীবন না
করে, তাহলেও কোন ক্ষতির আশংকা নেই।
কিন্তু অনুভূতিহীনতা এবং অসচ্চরিত্রের কারণে মানুষ এর মধ্যে স্বাদ অনুভব করে। আল্লাহ তা'আলা আমাদেরকে রক্ষা করুন। আমিন।
বই : গুনাহে বে লজ্জত