সুন্দর ও আনন্দময় জীবন যাপনের পথ-নির্দেশ

সুন্দর ও আনন্দময় জীবন যাপনের পথ-নির্দেশ

সুন্দর ও আনন্দময় জীবন যাপনের পথ-নির্দেশ

হাসি বা উৎফুল্ল থাকার উপকারিতা

পরিমিত ও সংযত হাসি- দুশ্চিন্তা, পেরেশানী ও হতাশার ঔষধআত্মিক প্রশান্তি ও মানসিক উৎফুল্লতায় হাসির ক্রিয়া অত্যন্ত কার্যকরী।

শুনে আশ্চর্য হবেন, হযরত আবু দারদা রাযিয়াল্লাহু আনহু বলেন-

আমার আত্মার প্রশান্তির জন্য আমি হাসি। নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও হাসতেনকখনও তার মাড়ির দাঁত দেখা যেত ‘

এ হাসি তারাই হাসেন, যারা জ্ঞানী। এ হাসি তারাই হাসেন, যারা নফসের অসুস্থতা ও তার ঔষধ সম্পর্কে জ্ঞান রাখেন।

 

হাসির ধরণ ও যথাযথ স্থান

সুখ, তৃপ্তি ও আনন্দের প্রতীক হাসি। তবে এক্ষেত্রে বাড়াবাড়ি কাম্য নয়। ‘অতিরিক্ত হাসি দিলকে মেরে ফেলে। মধ্যম পন্থা অবলম্বন করতে হবে।

فَتَبَسَّمَ ضَاحِكًا مِّن قَوْلِهَا

‘সে তার কথা শুনে হেসে ফেলল।' [সূরা নামল : ১৯]

তবে মনে রাখতে হবে, কাউকে অবজ্ঞা করা কিংবা হেয় করার জন্য হাসা যাবে না।

 فَلَمَّا جَآءَهُم بِـَٔايٰتِنَآ إِذَا هُم مِّنْهَا يَضْحَكُونَ

সে তাদের নিকট আমার নিদর্শনসহ আসামাত্র তারা তা নিয়ে হাসি-ঠাট্টা করতে শুরু করল।' [সূরা যুখরুফ : ৪৭]

জান্নাতবাসীদের নেয়ামতসমূহের একটি হচ্ছে হাসি।

فَالْيَوْمَ الَّذِينَ ءَامَنُوا مِنَ الْكُفَّارِ يَضْحَكُونَ

‘আজ মুমিনগণ কাফেরদের নিয়ে হাসছে; উপহাস করছে।' [সূরা মুতাফফিফীন : ৩৪]

যারা হাসে, আরবরা তাদের প্রশংসা করত। হাসিকে তারা বদান্যতা, উদারতা, মহান ব্যক্তিত্ব ও উত্তম চরিত্রের লক্ষণ বলে বিশ্বাস করত। বাস্তবতা হচ্ছে, ইসলাম- আকীদা-বিশ্বাস, ইবাদাত-আখলাক, আধ্যাত্মিকতাসহ সব ক্ষেত্রেই মধ্যম পন্থা ও ভারসাম্যতার উপর প্রতিষ্ঠিত। এখানে সংকীর্ণ মানসিকতা, গোমরামুখ, হতাশা ও নৈরাশ্যের যেমন স্থান নেই, তেমনি আত্মম্ভরিতা, অহংকার ও অট্টহাসি হাসারও সুযোগ নেই। বরং চরিত্রে থাকবে সরলতা ও গাম্ভীর্য আর মেজাজে থাকবে প্রফুল্লতা ও আনন্দ।

 

মুখ গোমরা করে রাখা কাম্য নয়

মুখ গোমরা করে রাখা অন্তরে পরিচ্ছন্নতার অভাব থাকার পরিচায়ক।

عَبَسَ وَتَوَلّٰىٓ

সে কুঞ্চিত করল এবং মুখ ফিরিয়ে নিল।' [সূরা আবাসা : ১]

আহমাদ আমীনফয়যুল খাতিরনামক পুস্তকে লিখেছেন, যারা হাসিখুশি থাকেন, তারা যে কেবল সৌভাগ্যবান তা-ই নয়, বরং তারা কর্মে সুদক্ষ ও দায়িত্ব পালনে অগ্রগামী। তারা অধিকতর দায়িত্ব ও কর্ম সম্পাদন করতে সক্ষম। দৃঢ়তা ও সফলতার সাথে বিপদ-আপদের মোকাবিলা করতে পারেন। অন্যদের জন্য তারা অধিক উপকারী। তারা বড় বড় ও গুরুত্বপূর্ণ কর্ম সম্পাদনকারী।

আমাকে যদি অধিক ধন-সম্পদ, সামাজিক মান-মর্যাদা ও গুরুত্বপূর্ণ পদ আর হাসিখুশি, আনন্দময় ও প্রশান্ত ব্যক্তিত্ব- এ দুয়ের মধ্য থেকে কোনো একটিকে বেছে নেওয়ার এখতিয়ার দেওয়া হয়, তা হলে আমি পরেরটিকেই বেছে নেব। কারণ, দুঃখ-কষ্টের সাথে ধন-সম্পদের কী ফায়দা? বিষন্নতার সাথে সামাজিক মর্যাদায় কী লাভ?

মানুষ যদি সব সময় এমনভাবে জীবন যাপন করে, যেন সে এইমাত্র তার কোনো প্রিয়জনের জানাযা থেকে ফিরে এসেছে, তা হলে তার ধন-সম্পদ আর আসবাব-উপকরণে কী লাভ?

এমন স্ত্রীর সৌন্দর্য দিয়ে কী হবে, যার মেজাজ রুক্ষ্ম এবং ঘরকে বানিয়ে রাখে জাহান্নামের অংশ? তার চেয়ে তো হাজার গুণ ভালো ওই স্ত্রী, যে তার মতো অতটা সুন্দরী না হলেও নিজের ঘরকে করে রাখে আনন্দময় ও একরকম জান্নাতসদৃশ।

 

চারপাশের পুরো পরিবেশই হাসছে

মেকি ও লৌকিক খোশমেজাজে কোনো ফায়দা নেই। মানুষের হাসা উচিত। কারণ, তার চারপাশের পুরো পরিবেশই হাসছে।

ফুল, বাগান, ঝরনা, নহর, খোলা আকাশ ও পক্ষিকুল সকলেই আনন্দ বিলাচ্ছে। জন্মগতভাবে মানুষও খোশমেজাজি।

কখনও কখনও আমিত্ব, আত্মম্ভরিতা, ও লোভ-লালসার কারণে তার মুখ কালো হয়ে যায়। তখন সে তার সহজাত প্রকৃতি থেকে দূরে সরে যায়।

 যার আত্মা কলঙ্কিত, সে সৌন্দর্য উপলব্ধি করতে পারে না। যার মন কালো, সে বস্তুসমূহের প্রকৃত রূপ দেখতে পায় না। কারণ, প্রতিটি মানুষই এ দুনিয়াকে তার নিজস্ব ধ্যান-ধারণা, আমল-আখলাক ও চরিত্রের চশমায় দেখে থাকে। যদি তার আমল ভালো হয়, আচরণ পরিশুদ্ধ হয়, মন-মানসিকতা পবিত্র হয়, তা হলে তার মনের আয়নাও নির্মল, পরিষ্কার ও স্বচ্ছ হবে। ফলে দুনিয়া তার কাছে খুবসুরত বলে মনে হবে। আর যদি তার মনের আয়নাই অস্বচ্ছ ও ময়লা হয়ে থাকে, তা হলে সবকিছুকেই তার কাছে। কালো ও ময়লাযুক্ত মনে হবে।

কিছু মানুষ আছে এমন, যারা সবকিছুকেই দুঃখ-কষ্টে পরিণত করে ছাড়ে। পক্ষান্তরে এমনও অনেক মানুষ আছে, যারা সবকিছুকেই সুন্দর বানিয়ে দিতে পারে।

স্ত্রী যদি ঘরের প্রতিটি বস্তুকেই খারাপ দৃষ্টিতে দেখে; কোনো পাত্র ভেঙ্গে গেলে, কখনও খাবারে সামান্য লবণ বেশি হলে কিংবা ঘরের কোথাও কাগজের কোনো টুকরা পড়ে থাকলে যদি চিৎকার-চেঁচামেচি করতে শুরু করে এবং ঘরের লোকজনকে গালিগালাজ করতে থাকে, তা হলে স্পষ্টতই এমন ঘর জাহান্নামে পরিণত হবে।

অনেক মানুষ আছে এমন, যারা যে কোনো কথা শুনলেই তার একটি সম্ভাব্য সর্বাপেক্ষা মন্দ ব্যাখ্যা করে।

তুচ্ছ কোনো ভুল হলে, সামান্য কিছু ক্ষতি হয়ে গেলে কিংবা প্রত্যাশিত মুনাফা অর্জন না হলে দুঃখে-কষ্টে ভেঙ্গে পড়ে; পুরো দুনিয়াকেই অন্ধকার দেখে। আশপাশের লোকদের চোখেও তাকে অন্ধকার করে তোলে। হতাশা ও নৈরাশ্য তাদের ঘিরে ধরে।

আবার কিছু লোক আছে এমন, যারা যেকোনো বিষয়কে বাড়িয়ে বলতে অভ্যস্ত। কোনো বিষয়কে রঙ চড়িয়ে অতিরঞ্জিত করে প্রচার করতে আনন্দ অনুভব করে। তারা তিলকে তালা বানায়। বীজকে গাছে পরিণত করে। কল্যাণের কোনো যোগ্যতাই তাদের মাঝে নেই। যতই দেওয়া হোক, তারা সুখী ও তৃপ্ত হয় না। যা আছে তার শোকর আদায় করে না।

 

জীবন একটি শিল্পকলা

জীবন একটি শিল্পকলা বা কৌশলবিদ্যা। যা শিখতে হয় এবং চর্চা করতে হয়। মানুষের জন্য তাদের পকেট ভর্তি করা কিংবা ব্যাংক ব্যালেন্স সমৃদ্ধ করার পরিবর্তে জীবনে হাসি-আনন্দ ও ভালোবাসা অর্জন করার জন্য চেষ্টা করা অনেক বেশি প্রয়োজন। জীবন যদি ধন-সম্পদ আর বিত্ত-বৈভব অর্জন করতেই খরচ করে ফেলা হয়, হাসি-আনন্দ আর ভালোবাসা-সৌন্দর্যের জন্য যদি কোনো চেষ্টা-মেহনত করা না হয়, তা হলে এমন জীবনের সার্থকতা কোথায়?

 

ধন-দৌলতের নেশা ও হাসি-আনন্দ

বহু মানুষ জীবনের হাসি-আনন্দের জন্য নিজেদের চোখই খুলে না। তাদের চোখে কেবলই টাকাটাকা আর ধন-দৌলতের নেশা। তারা সুবাসিত বাগান, মনোহারী ফুল, বয়ে চলা ঝরনা, গানে রত পাখি, প্রকৃতির সৌন্দর্যের পাশ দিয়ে অতিক্রম করে, কিন্তু সেদিকে তাদের দৃষ্টি যায় না। তাদের সমস্ত মনোযোগ নিবদ্ধ থাকে টাকা-পয়সার আমদানি-রফতানির দিকে।

উচিত ছিল টাকা-পয়সাকে সুখী ও সমৃদ্ধ জীবনের উপকরণ হিসেবে গ্রহণ করা, কিন্তু মানুষ ব্যাপারটা সম্পূর্ণ পরিবর্তন করে ফেলেছে। টাকা-পয়সার বিনিময়ে সুখী জীবনকে বিক্রি করে দিয়েছে। আমাদেরকে চোখ দেওয়া হয়েছে সৌন্দর্য অবলোকন করার জন্য, কিন্তু আমাদের চোখ দেখে একমাত্র টাকা-পয়সাকে।

 

নৈরাশ্যের রিরোদ্ধে যুদ্ধ

নৈরাশ্য আত্মা ও অন্তরকে সবচেয়ে বেশি মলিন করে। অতএব, যদি হাসতে চান, তা হলে নৈরাশ্য ও হতাশার বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যান। হাসি-আনন্দের সুযোগ আপনার ও সকলের জন্য সমান। কামিয়াবী ও সফলতার দুয়ার সবার জন্যই উন্মুক্ত।

অতএব, আপনি আশা, আকাঙ্ক্ষা ও ভবিষ্যৎ কল্যাণের প্রত্যাশায় আপনার হৃদয়কে অনুপ্রাণিত করুন। আপনি যদি মনে করেন কেবল ছোটখাটো কাজের জন্যই আপনার জন্ম, তা হলে সারা জীবনই আপনার ছোট ছোট কাজ করে যেতে হবে। কোনোদিনও আপনি মহৎ কোনো কাজ আঞ্জাম দিতে পারবেন না।

আর যদি মনে করেন মহৎ কাজের জন্যই আপনার সৃষ্টি, তা হলে দেখবেন আপনার সাহস ও হিম্মত এতটাই বেড়ে যাবে যে, পথের সমস্ত বাধা ও প্রতিবন্ধকতা দূর হয়ে যাবে। আপনি আপনার অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌছে যাবেন।

 

সুদীর্ঘ লক্ষ্য স্থির করুন

উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, যে ব্যক্তি একশ মিটার দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে, সে একশ' মিটার দৌড় শেষ করার পর ক্লান্ত হয়ে যাবে। পক্ষান্তরে যে ছয়শমিটার দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবে, সে কিন্তু একশদুইশকিংবা তিনশমিটার দৌড়িয়েও ক্লান্ত হবে না। অতএব, সংকল্প যেমন হিম্মতও তেমনই।

সুতরাং, আপনি আপনার লক্ষ্য স্থির করুন; এবং অবশ্যই তা হতে হবে উঁচু। সে লক্ষ্যে আপনি যদি প্রতিদিন একটি করেও পদক্ষেপ গ্রহণ করেন, তা হলে কেন তা আপনি অর্জন করতে পারবেন না?

হাঁ, আপনি যদি হতাশ হয়ে পড়েন, আশা ছেড়ে দেন, কেবল অন্যের দোষ-ত্রুটিই অন্বেষণ করেন, সব কিছুকে মন্দ ভেবে ভেবে জীবনটাকেই জাহান্নাম বানিয়ে ফেলেন, তা হলে স্পষ্টতই আপনার জীবন সংকীর্ণ হয়ে যাবে, জীবনকে আপনার জেলখানা বলে মনে হবে।

 

একজন যোগ্য শিক্ষক ও মুরুব্বীর পরামর্শ অনুযায়ী চলুন

লক্ষ্য অর্জনে একজন মানুষ সবচেয়ে বেশি উপকৃত হতে পারে তখন, যখন তার একজন যোগ্য শিক্ষক ও মুরুব্বী থাকে। যিনি তার সহজাত যোগ্যতা ও গুণাবলিকে উন্নত করবেন। উদারতা ও বদান্যতা শিক্ষা দিবেন। প্রশস্ত হৃদয় ও দানশীলতার সবক দিবেন। সর্বোপরি যিনি তাকে এ কথা বলে দিবেন যে, সবচেয়ে বড় লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হচ্ছে, জীবনে তোমাকে যথাসম্ভব মানুষের জন্য কল্যাণ ও উপকারিতার ঝরনায় পরিণত হতে হবে; সূর্যের ন্যায় আলো বিকিরণ করতে হবে; তোমার দিল হতে হবে ভালোবাসায় পূর্ণ; যে-ই তোমার কাছে আসবে, সে-ই যেন উপকৃত হয়। এমন মানুষই বিপদ-আপদ দেখে হাসতে পারেন। বিপদ কাটিয়ে উঠতে আনন্দ অনুভব করেন। হেসেখেলে সেগুলোর মোকাবিলা করেন।

পক্ষান্তরে ভ্রুকুটিকারী ব্যক্তি সমস্যার সম্মুখীন হলে হতাশ হয়ে পড়ে। তার হিম্মত ভেঙ্গে যায়। যদিকিন্তুর ফাঁদে পড়ে। অথচ প্রকৃতপক্ষে দুর্বলতা কেবল তার অন্তরেই।

তার তরবিয়ত এমনভাবে হয়েছে যে, সে জীবনের সফলতা চায়, কিন্তু তার মূল্য পরিশোধ করতে নারাজ। সে সকল পথেই দাঁত বের করা সিংহ দেখে। ওই বেচারা এই আশায় বসে থাকে যে, আকাশ থেকে সোনা বর্ষিত হবে কিংবা জমিন ফেটে কোনো ধণভাণ্ডার বেরিয়ে আসবে ।

 

মুশকিল বলতে কোনো বিষয়ই নেই

সমস্যা ও জটিলতা জীবনের এক আপেক্ষিক বিষয়। সাধারণ লোকের কাছে সবকিছুই জটিল। অপরদিকে মহৎ ব্যক্তিদের জন্য মুশকিল বলতে কোনো বিষয়ই নেই।

বিপদ-আপদের মোকাবিলা মহৎ ব্যক্তিদের ব্যক্তিত্ব ও মর্যাদা বৃদ্ধি করে। পক্ষান্তরে সাধারণ লোক সমস্যা দেখে পলায়নের রাস্তা গ্রহণ করার ফলে তাদের হীনতাই কেবল বৃদ্ধি পায়

সমস্যা-সংকট পাজি কুকুরের ন্যায়। তাকে দেখে যদি আপনি ভয় পেয়ে যান; যদি দৌড়াতে শুরু করেন, তা হলে সে আপনার পিছনে পিছনে ঘেউ ঘেউ করতে থাকবে। আর যদি আপনি তাকে অবজ্ঞা করেন, ভয় পেয়ে নিরুদ্বেগে তার সামনে এগিয়ে যান, তা হলে সে রণে ভঙ্গ দিয়ে আপনাকে পথ ছেড়ে দিবে।

 

হীনমন্যতা পরিহার করুন

একটি বিষয় হচ্ছে হীনমন্যতা মানুষের জন্য এরচেয়ে বড় হত্যাকারী আর দ্বিতীয়টি নেই যে, সে নিজেকে দুর্বল, মূল্যহীন, অযোগ্য ও অক্ষম ভাবে। এমন মানুষের দ্বারা বড় কোনো কাজ সম্পাদিত হতেই পারে না। তাদের থেকে কল্যাণের কোনো আশাই করা যায় না।

হীনমন্যতার এ অনুভূতি মানুষের কাছ থেকে তার আত্মবিশ্বাস কেড়ে নেয়। সে কোনো কাজের ইচ্ছা করলে তার কামিয়াবী ও নিজের সফলতার ব্যাপারে সন্দেহে ভুগতে থাকে। হিম্মত দুর্বল হয়ে আসে। পরিণতিতে সে অবধারিতভাবে ব্যর্থতার মুখ দেখে।

মনে রাখবেন, আত্মবিশ্বাস অনেক বড় জিনিস। জীবনের কামিয়াবী ও সফলতার ভিত্তি তারই উপর। তবে আত্মবিশ্বাস ও আত্মগরিমার মাঝে আকাশ-পাতাল পার্থক্য

দ্বিতীয়টি খুবই খারাপ ও জঘন্য। আত্মগরিমা বলতে বুঝায় প্রবঞ্চণাময় কল্পনা ও মিথ্যা গর্বের উপর নির্ভর করা। আর আত্মবিশ্বাস বলতে বুঝায় সত্যিকার দক্ষতার উপর নির্ভর করে দায়িত্ব পালন করা ও জিম্মাদারি আদায়ে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হওয়া।

 


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url