ইসলামের দৃষ্টিতে ‘জাল-ভেজাল ও প্রতারণা’ -মাওলানা আবু তাহের মিছবাহ
জাল-ভেজাল ও প্রতারণা
✅মাওলানা আবু তাহের মিছবাহ
হযরত আবু হোরায়রা রা. হতে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একবার মদীনার
বাজারে একটি গমের স্তুপের পাশ দিয়ে গেলেন, আর তূপের ভিতরে হাত ঢুকিয়ে ভিতরে কিছু আর্দ্রতা পেলেন।
(অথচ বাইরে থেকে তা শুকনো ছিলো।) তিনি দোকানদারকে বিষয়টি জিজ্ঞাসা করলেন। সে বললো, বৃষ্টির ফোঁটা পড়ে এমন হয়েছে। তিনি বললেন, তাহলে তুমি ভিতরের গুলো বাইরে করে দিচ্ছো না কেন, যাতে ক্রেতা তোমার স্তুপের আর্দ্রতা বুঝতে পারে? তারপর তিনি বললেন
যে আমাদের ধোকা দেয় সে আমার উম্মতভূক্ত নয়। [মুসলিম, হাদীছ নং ১০১]
এত সামান্যতেই যদি রহমতের নবীর পক্ষ হতে এত বড় ধমক আসে তাহলে
ঐলোকদের কী অবস্থা যারা ইচ্ছাকৃতভাবে অতিমুনাফার লোভে পণ্যদ্রব্যে ভেজাল মেশায়, যা অনেক সময় মানুষের স্বাস্থ্যের ঝুঁকি, এমনকি জীবনের ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়ায়?
কীভাবে নিজেদের তারা মুসলিম বলে পরিচয় দিতে পারে, যদিও ছালাত-ছিয়াম পালন করে এবং হজের পর হজ্ব করে?!
অনেকে ক্রেতাকে ভালো নমুনা দেখায়, কিন্তু সরবরাহ করার সময় নিম্মমানের মাল দেয়। কিংবা মাল বিক্রি
করার সময়, তার মধ্যে
যে দোষ আছে তা উল্লেখ না করে গোপন রাখে, তারাও উপরোক্ত হাদীছের হুঁশিয়ারির অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে এবং
আল্লাহ না করুন, জাহান্নামই
হবে তাদের ঠিকানা।
হাদীছ শরীফে এসেছে, তারা সর্বদা আল্লাহর গযবের মধ্যে থাকবে, আর ফিরেশতারা তাদেরকে অভিশাপ ও লানত দিতে থাকবে।