‘নামায’ মুমিনের মুক্তির অন্যতম হাতিয়ার


সকল বিপদ মসিবতে নামায

يٰٓأَيُّهَا الَّذِينَ ءَامَنُوا اسْتَعِينُوا بِالصَّبْرِ وَالصَّلٰوةِ ۚ إِنَّ اللَّهَ مَعَ الصّٰبِرِينَ

হে ঈমানদারগণ! তোমরা ধৈর্য নামাযের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা কর। [সূরা বাকারা : ১৫৩]

আপনি যখন আতঙ্কগ্রস্ত উদ্বিগ্ন হয়ে পড়বেন, দুশ্চিন্তা পেরেশানী যখন আপনাকে ঘিরে ধরবে, তখন নামাযে দাঁড়িয়ে যান। আপনার আত্মা শান্তি পাবে। দিল ঠান্ডা হবে।

ইনশাআল্লাহ নামায আপনার উৎকণ্ঠা, উদ্বিগ্নতা পেরেশানীর কালো মেঘ দূর করে দিবে। নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সামনে যখন কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় দেখা দিত, তখন তিনি বলতেন, ‘বেলাল! নামাযের মাধ্যমে আমাদেরকে আরাম দাও। নামায তাঁর চোখের শীতলতা মানসিক প্রফুল্লতার মাধ্যম ছিল। মানুষের জীবন আমি দেখেছি, যখনই তারা কোনো বিপদে পড়তেন, তখনই

নামাযের দিকে দৌড়ে যেতেন। নামাযের মাধ্যমে তাদের শক্তি ফিরে আসত। হিম্মত সাহস বৃদ্ধি পেত।

মনে যখন ভয় ছেয়ে যাবে, জীবন যখন তলোয়ারের নীচে মেলে ধরা হবে, এমতাবস্থায় মনকে দৃঢ় সাহস জিইয়ে রাখার জন্য নামাযের চেয়ে অধিক ফলপ্রসূ কার্যকরী আর কিছু নেই। আরসালাতুল খাওফতখা ভয়ের নামাযের দর্শন এটিই।

হতাশা হতে মুক্তির জন্য নামায

আজ যারা মানসিক বৈকল্য হতাশার শিকার, মসজিদ তাদের বড় প্রয়োজন। উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা অস্থিরতা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য নামায অত্যন্ত দরকার। অশ্রু চোখকে নষ্ট করে দিতে পারে, দুশ্চিন্তা-পেরেশানী স্নায়ু বিকল করে দিতে পারে, কিন্তু থেকে মুক্তির উপায় নামায ছাড়া আর কিছু নেই।

আমরা যদি ঠান্ডা মাথায় গভীরভাবে চিন্তা, করি, তা হলে বুঝতে পারব, দিনরাতে পাঁচ ওয়াক্ত নামায এক মহা নেয়ামত। নামায গুনাহসমূহের কাফ্ফারা । আল্লাহর কাছে মর্যাদা মর্যাদা বৃদ্ধির মাধ্যম। দুঃখ-যন্ত্রণা লাঘব মুশকিল আসানের উপায় ।

অন্তরের ব্যাধি দূর ও মনকে শান্ত রাখতে নামায

আমাদের রোগ-ব্যাধির মহৌষধ। এই নামায মনকে প্রশান্তি, ইয়াকীন কদীরের প্রতি সন্তুষ্টি দিয়ে পরিপূর্ণ করে দেয়। যারা থেকে দূরে থাকে, যারা নামায ত্যাগ করে, তাদের দুর্ভোগ কখনও কমে না।

এই ভালো এই মন্দ। এক সমস্যার সমাধান হয় তো আরেক সমস্যা এসে ঘিরে ধরে।

فَتَعْسًا لَّهُمْ وَأَضَلَّ أَعْمٰلَهُمْ

তাদের জন্য রয়েছে দুর্ভোগ। তাদের আমল বিফল হয়ে গেছে।' [সূরা মুহাম্মাদ : ]




Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url