ছালাত কখনো মাফ হয় না
ছালাত সবার উপর ফরয
যাকাত সবার উপর ফরয নয়।
যে ব্যক্তি নেছাব পরিমাণ মালের মালিক শুধু তার উপর বছরে একবার তা ফরয এবং তাও
নির্দিষ্ট কিছু শর্ত পাওয়া যাওয়ার পর।
তদ্রুপ রোযা সারা বছর
ফরয নয়,
বরং শুধু রামাযান মাসে ফরয, তদ্রুপ হজ্জ শুধু সক্ষম ও
সামর্থ্যবান মুসলমানের উপর ফরয এবং তাও জীবনে মাত্র একবার।
পক্ষান্তরে ছালাত এমন এক
ইবাদত যা সারা জীবনের জন্য ফরয এবং প্রতিদিন পাঁচওয়াক্তের জন্য ফরয এবং প্রত্যেক ‘আকিল, বালিগ মুমিন নর-নারীর উপর সর্বাবস্থায় ফরয।
সুস্থ ব্যক্তির উপর যেমন
ফরয তেমনি ফরয অসুস্থ ব্যক্তির উপর। মুকীমের উপর যেমন ফরয তেমনি ফরয মুসাফিরের উপর, এমনকি জিহাদের মত কঠিন সফরের হালাতেও তা ফরয। দুশমন যখন
মুসলমানদের উপর হামলা করছে তখনো তা ফরয।
যুদ্ধের ময়দানেও প্রয়োজনে
বিশেষ হালাতের ছালাত আদায় করতে হবে, শরী'আতে
যার নাম হলো ছালাতুল খাওফ বা ভয়-ভীতির ছালাত।
তদ্রুপ সুস্থ ব্যক্তির
উপর যেমন তা ফরয তেমনি অসুস্থ ব্যক্তির উপরও একই রকম ফরয। এমনকি যদি কেউ এত অসুস্থ
হয় যে,
দাঁড়িয়ে ছালাত পড়তে পারে না, তাকে বসে পড়তে হবে, যদি বসে পড়তে না পারে তাহলে শোয়া অবস্থায় পড়বে এবং
ইশারার মাধ্যমে রুকু-সিজদা আদায় করবে।
ছালাত এমন এক ফরয যা
আধ্যাত্মিকতার সর্বোচ্চ স্তরে উপনীত হওয়ার পরও কোন অলী-বুযুর্গের উপর থেকে তা
রহিত হয় না, এমনকি
নবীরাসূলগণের উপর থেকেও কখনো রহিত হয়নি। সীরাতের কিতাবে বর্ণিত আছে, গাযওয়াতুল খান্দাকের কঠিন দুর্যোগের সময় নবী ছাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লামের চার ওয়াক্ত নামায কাযা হয়েছিলো, যা তিনি পরে আদায় করেছেন। এমনকি ছাহাবা কেরাম তো জামাতেরও
এত ইহতিমাম করতেন যে, দু’জন মানুষের কাঁধে ভর দিয়ে হলেও তাঁরা মসজিদে হাযির হতেন।
খোল্লামখোল্লা কোন
মুনাফিকই শুধু জামাতে গায়রে হাযির থাকার। দুঃসাহস করতো, নচেৎ গোপন মুনাফিক যারা, তারাও মুনাফিকি প্রকাশ পাওয়ার ভয়ে জামাতে হাযির থাকার
চেষ্টা করতো।