তুচ্ছ কারণে ভেঙ্গে পড়বেন না


তুচ্ছ কারণে ভেঙ্গে পড়বেন না, হতাস হবেন না

মুমিনদের সুখ, দুখঃ সব আল্লাহর জন্য। যার হৃদয়ে আল্লাহর ভালোবাসা আছে , সে ছোট ছোট কারনে ভেঙ্গে পড়েনা। অল্পতে হতাস হয়না । কারণ তার পথ প্রদর্শকতো আল্লাহ। আবার সে জানে আল্লাহ মুমিন বান্দাদের পরীক্ষা করেন।

মুনাফিকদের হীনতা

বহু মানুষ অতি তুচ্ছ ও নগণ্য কারণে বিমর্ষ হয়ে পড়েন। পেরেশানী ও উদ্বিগ্নতায় ভোগেনমুনাফিকদের দেখুন। তাদের হিম্মত কম, তারা সংকল্পে দুর্বল।

মোনাফেকদের সম্পর্কে কুরআনে বলা হয়েছে, তারা বলে-

لَا تَنفِرُوا فِى الْحَرِّ

‘গরমের মধ্যে অভিযানে বের হয়ো না।' (সূরা তাওবা : ৮১)

ائْذَن لِّى وَلَا تَفْتِنِّىٓ

আমাকে [যুদ্ধে অংশগ্রহণ করা থেকে] অব্যাহতি দিন। আমাকে ফিতনায় ফেলবেন না (সূরা তাওবা : ৪৯)

 إِنَّ بُيُوتَنَا عَوْرَةٌ

আমাদের বাড়িঘর অরক্ষিত।' (সূরা আহযাব : ১৩)

نَخْشٰىٓ أَن تُصِيبَنَا دَآئِرَةٌ

আমাদের আশংকা হয়- আমাদের ভাগ্যবিপর্যয় ঘটবে।' (সূরা মায়িদা : ৫২)

مَّا وَعَدَنَا اللَّهُ وَرَسُولُهُۥٓ إِلَّا غُرُورًا

আল্লাহ ও তাঁর রসূল আমাদেরকে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তা প্রতারণা বৈ কিছুই নয়।' (সূরা আহযাব : ১২)

কত হীনতা তাদের কথায়! কতটাই না অনুভূতিহীন তারা! তাদের দৃষ্টি কেবল পেটপূজা, বাড়িঘর আর দালান-কোঠায়ই সীমাবদ্ধ। আকাশের উচ্চতায় তাকিয়ে দেখতে তাদের দৃষ্টি অভ্যস্তই নয়। শ্রেষ্ঠত্বের তারকারাজি তারা দেখতেই চায় না। তাদের চিন্তা-ফিকির কেবল ঘোড়া, কাপড়, জামা, জুতা আর খাওয়া-দাওয়া নিয়ে

অনেকের সামনে বৃহৎ কোন লক্ষ্য নেই

ঠিক তেমনিভাবে এমন লোকের সংখ্যাও অনেক, যাদের সকাল-বিকালের একমাত্র ব্যস্ততা হচ্ছে বিবি-বাচ্চা আর আত্মীয়-স্বজন। ছোটখাটো ঝগড়া, গালিগালাজ কিংবা তুচ্ছাতিতুচ্ছ বিষয়ই তাদের জন্য অনেক বড় কিছু।

 

তাদের সামনে স্থির কোনো লক্ষ্য নেই। মহৎ কোনো পরিকল্পনা নেই। কথায় আছে-পাত্র যখন পানিশূন্য হয়, তখন তা বাতাসে পূর্ণ হয়। অতএব, ভেবে দেখুন, আপনি যা নিয়ে পেরেশান তা কোন পর্যায়ের বিষয়। সেটি কি আপনার দুশ্চিন্তা-পেরেশানীর উপযুক্ত?

 

বিষয়টি কি এমন, যাকে আপনি আপনার রক্ত, মাংস, সময় ও প্রশান্তিসহ সবকিছুই দিয়ে দিবেন? এ তো অনেক লোকসানী ব্যবসা! মনোবিজ্ঞানীগণ বলেন, সব কিছুকে তার যোগ্য মর্যাদা দিতে হবে।

তার চেয়েও বিশুদ্ধতম কথা হচ্ছে ঐশী বাণী-

 إِنَّ اللَّهَ بٰلِغُ أَمْرِهِۦ ۚ

আল্লাহ সবকিছুর জন্য নির্দিষ্ট মাত্রা নির্ধারণ করে রেখেছেন।' (সূরা তালাক : ৩)

প্রতিটি বিষয়কে প্রয়োজন ও গুরুত্ব অনুপাতে মূল্যায়ন

প্রতিটি বিষয়কে তার বাস্তবতা, প্রয়োজন ও গুরুত্ব অনুপাতে মূল্যায়ন করতে হবে। কমও করবেন না, বেশিও করবেন না।

হুদাইবিয়ায় সাহাবায়ে কেরাম বাইআত হচ্ছিলেন। তখন তাদের সমস্ত মনোযোগ ও চিন্তা-চেতনা ছিল বাইআতকে কেন্দ্র করে। ঠিক সেই মুহূর্তে তাদের সঙ্গে এমন এক লোকও ছিল, যে ছিল তার সামান্য একটা উটের চিন্তায় বিভোর। এমনকি ওই উটের চিন্তায় তার বাইআতও নসীব হয়নি।

সাহাবায়ে কেরাম আল্লাহর স্থায়ী সন্তুষ্টি অর্জন করে নিলেন আর সে হল বঞ্চিত; তার ভাগ্যে জুটল মাহরূমী। অতএব, ছোটখাটো ও তুচ্ছ জিনিসের চিন্তা বাদ দিন। তা হলে আপনি প্রফুল্ল ও হাসি-খুশি থাকতে পারবেন। অধিকাংশ দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি পেয়ে যাবেন


প্রয়োজনীয় কিছু লিংক : 

পোষ্টটি ভালো লাগলে স্যোসাল মিডিয়ায় সেয়ার করবেন এবং কমেন্ট করে জানাবেন।

www.su-path.com বাংলা ভাষায় একটি ইসলামি ওয়েবসাইট। প্রতিদিন নতুন নতুন বিষয়ে পোষ্ট করা হয়। 

আমাদের পোষ্টগুলো প্রতিদিন পড়তে আমাদের ফেইসবুক পেইজে লাইক দিয়ে সাথে ধাকুন। ধন্যবাদ ।

আমাদের ফেইসবুক পেইজ 👉 https://www.facebook.com/SatyeraAlo

 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url