দুঃখের সাথে সুখ

দুঃখের সাথে সুখ 

হে মানুষ! ক্ষুধার পর তৃপ্তি আসে। পিপাসার পর আসে নিবারণ। জেগে থাকার পর ঘুম আসে। অসুস্থতার পর আসে সুস্থতা।। 
পথহারা পথ খুঁজে পাবে। দুঃখ-পীড়িতজন পাবে সুখের দেখা। অন্ধকার কেটে যাবে।
 ‘অতএব, সেদিন দূরে নয়, যেদিন আল্লাহ তাআলা বিজয় প্রকাশ করবেন অথবা। নিজের পক্ষ থেকে কোনো নির্দেশ দিবেন।' [সূরা মায়িদাহ : ৫২] 
রাতকে সুসংবাদ দিন নির্মল ভোরের। দুশ্চিন্তাগ্রস্তকে সুসংবাদ দিন দ্রুত এগিয়ে আসা সুদিনের। বিপদগ্রস্তকে সুসংবাদ দিন মহান। আল্লাহর দয়া ও অনুগ্রহের। যখন দেখবেন মরুভূমি। দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হয়েই চলছে, তখন বুঝবেন। তার পরেই আছে সবুজ শ্যামল বাগান। অশ্রুর পর হাসি। ভয়ের পর নিরাপত্তা। উদ্বিগ্নতার পর প্রশান্তি। আগুন হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালামকে জ্বালায়নি। কারণ, প্রভুর আদেশ ছিল
হে আগুন! তুমি ইবরাহীমের জন্য শীতল ও নিরাপদ হয়ে যাও! [সূরা আম্বিয়া : ৬৯]। 
সমুদ্র হযরত মুসা আলাইহিস সালামকে ডোবায়নি। কারণ, তিনি একনিষ্ঠতা বলেছিলেন 
‘কখনোই নয়। আমার সাথে আছেন আমার পালনকর্তা। তিনি আমাকে পথ দেখাবেন।' [সূরা শুআরা : ৬২] 
হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম [সওর] গুহায় সঙ্গীকে অভয় দিয়ে বলেছিলেন
‘পেরেশান হয়ো না। আল্লাহ তাআলা আমাদের সাথে আছেন।' [সূরা তাওবা : ৪০] 
দুরাবস্থার শিকার ও হতাশাগ্রস্তরা কেবল শাস্তি, সংকীর্ণতা ও দুর্ভাগ্যই অনুভব করে। তাদের দৃষ্টি ঘরের দরজা-দেয়াল পর্যন্তই সীমাবদ্ধ থাকে। এর বেশি অগ্রসর হয় না। হায়! যদি তাদের দৃষ্টি পর্দার অন্তরালের দৃশ্যও অবলোকন করতে সক্ষম হত! তাদের চিন্তা-ভাবনা ও অণুধ্যান যদি দেয়ালের ওপারেও পৌছত! অতএব, সংকীর্ণমনা হবেন না। সব সময় এক অবস্থা বিরাজমান থাকে না। 
আল্লাহর দয়া, মেহেরবানী ও সহজতার জন্য অপেক্ষা করা সর্বোত্তম ইবাদত। যামানা পরিবর্তন হয়। কালের আবর্তন-বিবর্তন চিরন্তন। গায়েবের বিষয় অপ্রকাশ্য। প্রতিদিন জগতনিয়ন্তার নতুন নতুন শান হয়ে থাকে। 
মনে রাখবেন, দুঃখের পর সুখ আর সংকীর্ণতার পর প্রশস্ততা আসে।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url