কাজের মাধ্যমে আলস্য দূর করুন- ড. আয়েয আল ক্বরনী
কাজের মাধ্যমে আলস্য দূর করুন
পৃথিবীতে বেকার, অকর্মণ্য ও অনুৎপাদনশীল তারাই, যারা অলস। অনুৎসাহী ও গল্পগুজব করে সময় নষ্ট করে।
‘তারা পিছনে পড়ে থাকা লোকদের সাথে থেকে যেতে পেরে আনন্দিত হয়েছে।' [সূরা তাওবা : ৮৭]।
কর্মহীন হয়ে বেকার বসে থাকা খুবই খারাপ কথা। এমন ব্যক্তির মস্তিষ্ক এক সময় শয়তানের কারখানায় পরিণত হবে। সে লাগামহীন উটের ন্যায় এদিক-ওদিক উদ্ভ্রান্ত হয়ে ঘুরে বেড়াবে। যখন আপনি কাজ ছেড়ে অলস হয়ে যাবেন, তখন দুশ্চিন্তা, পেরেশানী ও উদ্বিগ্নতা আপনাকে ঘিরে ধরবে। অতীত, বর্তমান, ভবিষ্যতের ফাইল আপনার সামনে খুলে যাবে। আপনি তখন মুশকিলে পড়ে যাবেন। আপনার প্রতি আমার আন্তরিক উপদেশ, আপনি আলস্য পরিহার করে কোনো না কোনো ভালো কাজে লেগে যান। বেকার থাকা মানে নিজেকে নিজে জীবন্ত কবর দিয়ে দেওয়া; আত্মহত্যা করা।
আলস্যের উদাহরণ হচ্ছে সেই টর্চার সেলের ন্যায়, যা চীনের কয়েদখানাগুলোতে থাকে। যেখানে বন্দীদেরকে এমন একটি পানির টেপের নীচে রাখা হয়, যেখান থেকে প্রতি মিনিটে একটি করে পানির ফোঁটা পড়ে। ওই এক ফোঁটা পানির অপেক্ষায় থেকে থেকে কয়েদি বেচারারা পাগল হয়ে যায়।
আরামপ্রিয়তা- আলস্য ও উদাসীনতার আরেক নাম। অবসর ও আলস্য এক পেশাদার চোর । আর আপনার মন হচ্ছে তার বলি বা শিকার। সুতরাং, যখন আপনি অবসর থাকেন, তখন নামাযে দাঁড়িয়ে যান। তিলাওয়াত করুন। বই পড়ন। লেখালেখি করুন। ব্যায়াম করুন। অফিসটাকে পরিপাটি করুন। ঘরবাড়ি পরিষ্কার করুন। অন্যদের কাজ করে দিন। কাজের চাকু দিয়ে অবসরকে কেটে দিন। বিজ্ঞ ডাক্তার ও চিকিৎসকগণ এর বিনিময়েই আপনাকে পঞ্চাশ ভাগ সুখের গ্যারান্টি দিয়ে থাকেন। কৃষক, মজুর ও শ্রমিকদের দেখুন! তারা কীভাবে পাখির মতো ফুরফুরে মেজাজে গান গেয়ে যায়।
কারণ, তারা সুখী। তারা পরিতৃপ্ত। পক্ষান্তরে আপনি বিছানায় শুয়ে এপাশ-ওপাশ করেন আর চোখের পানি মোছেন। কারণ, আলস্য আপনাকে শেষ করে দিয়েছে।