এ দেশে ইসলাম প্রচারকারী একজন সুফী “মখদুম শাহ দওলাহ্ শহীদ”
মখদুম শাহ দওলাহ্ শহীদ
হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ইসলামের অন্যতম বিখ্যাত সাহাবা মুয়ায বিন জাবালের পুত্র (মতান্তরে বংশধর কারণঃ মুয়ায বিন জাবাল এর মৃত্যু হয় ৬২০ সালে। শাহ মাখদুম বাংলায় আসেন ত্রয়োদশ শতকের প্রথম ভাগে) ছিলেন মখদুম শাহ। পিতার অনুমতি ক্রমে তিনি তার ভগ্নি, ভগ্নিপুত্র সহ ইয়ামেন ত্যাগ করেন । পাবনা জেলার শাহজাদপুরের নিকট পাতাজিয়ায় তিনি বসতী গাড়েন। সেখানে একটি মসজিদ তৈরি করে তিনি ইসলাম প্রচারে আত্মনিয়োগ করেন।
তাঁর এ দাওয়াতী কার্যক্রমে খুব্ধ হয়ে হিন্দু রাজা হযরতের হামলা করে। যুদ্ধে শাহমখদুম এবং তার বহু অনুচর শহীদ হলেন । অবমাননার হাত থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য তার ভগ্নি একটি দীঘির পানিতে ডুবে প্রাণ ত্যাগ করেন। সেই থেকে দীঘিটি ‘সতী বিবির ঘাট’ নামে পরিচিত হয়ে আসছে….
শাহ মখদুমের শির বিহার শরীফে নীত হয়। হিন্দু রাজা সেই শিরে অলৌকিক আলো দেখে ভীত হন, এবং স্থানীয় মুসলমানদের সাহায্যে তা সমাধিস্থ করেন এবং সেখানে একটি মসজিদ তৈরি করেন।
শাহ মখদুমের ভগ্নিপুত্র খাজা শাহনুর তার দেহটি শাহজাদ পুরের মসজিদের নিকট কবর দেন।
শাহযাদপুরে শাহ মখদুম ও তার শিষ্যদের সর্বমোট একুশটি কবর বিদ্যমান।
শাহ্ মাখদুম ইয়ামেনের শাহযাদা ছিলেন, তাই স্থানটির নাম শাহ্ যাদপুর হয়েছে বলে কথিত আছে।
চলিত প্রবাদ অনুসারে সূফীশ্রেষ্ঠ জাললুদ্দীন রুমীর গুরু শায়খ শামসুদ্দীন তাবরীযী শাহ মখদুমের মুরশিদ ছিলেন।
শাহ যাদবপুরে শাহ্ মখদুমের মাযারে আজও শত শত ভক্ত দর্শক সমবেত হয় এবং ইসলামের শান্তি ও সান্তনার বাণী প্রচারে তাঁর আত্মত্যাগ ও শহীদী খুনের কথা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে।