ঘরেই থাকুন | সময় সামর্থ ও চরিত্র সংরক্ষন করুন


ঘরেই থাকুন | সময় সময় সামর্থ ও চরিত্র সংরক্ষন করুন 

বাহিরের পরিবেশে অযথা ঘুরোঘুরিতে আপনার জীবনের মুল্যবান সম্পদ ও চরিত্র অপচয় হয়। প্রবন্ধটি প্রড়ুন। নিজেকে সহায়তা করুন।

ঘরেই থাকুন

জাহেল, মূর্খ ও মন্দচারী লোকদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে অধিকাংশ সময় আপনি আপনার ঘরেই অবস্থান করুন। এতে আপনার মানসিক স্থিরতা ও আত্মিক প্রশান্তি লাভ হবে। 
কল্যানকর ও নেক কাজে বাধা প্রদানকারী বিষয় থেকে দূরে থাকা এমন এক ঔষধ, যা বুযুর্গানে দ্বীন ব্যবহার করেছেন এবং এর মাধ্যমে সফলতা লাভ করেছেন। এ কথাটিই  আমি আপনাকে বলতে চাই যে, আপনি মন্দাচার, অহেতুক কথা-কাজ ও অসভ্যতা থেকে দূরে থাকুন। এতে আপনার মেধা শাণিত হবে। আপনার মর্যাদা সুরক্ষিত থাকবে। আল্লাহর সঙ্গে আপনার সম্পর্ক স্থাপনের সুযোগ হবে। 
যেসকল স্থানে একত্র হওয়া ও মানুষের সঙ্গে কথাবার্তা বলাকে ভালো মনে করা হয়, তা হচ্ছে নামাযের জামাত ও জু‘মা, ইলমের মজলিস ও কল্যানকর কাজে সহযোগীতা করার যায়গা। অতএব আপনি অলসতা ও অকর্মণ্যতার স্থান থেকে দূরে থাকুন। নিজের ভুল-ভ্রান্তির জন্য কান্নাকাটি করুন। জবানকে নিয়ন্ত্রনে রাখুন এবং ঘরেই থাকুন। বেকার লোকদের সঙ্গে উঠাবসা করা নিজের বিরোদ্ধে যুদ্ধ করার শামিল; নিজের ভিতরকার শান্তি, নিরাপত্তা ও সস্তিকে ধ্বংস করার নামান্তর। কেননা এরা সাধারণত অভদ্র ও বেহুদা গল্প-গুজবকারী হয়ে থাকে। অনর্থক কথাবার্তা প্রচার করে বেড়ায়। ফেতনা-ফাসাদে ইন্দন যুগিয়ে থাকে। তারা আপনাকে এমন হতাশ করে ছাড়বে যে, আপনি মৃত্যুর আগে দশবার মারা যাবেন। ‘যদি তারা কারো সাথে অভিযানে বের হত, তা হলে তোমাদের অনিষ্ট ছাড়া আর কিছুই বৃদ্ধি করতনা। [সূরা তাওবা-: ৪৭]
আমার বিশ্বাস আপনি নিজেকে আপনার ঘরে আলাদা করে রাখবেন। নিজের কাজ করে যাবেন। হাঁ, যদি কোথাও কোন ভাল কাজ কিংবা কল্যাণকর কোন বিষয় থাকে, তা হলে সেখানে অংশ গ্রহণ করবেন। আপনি এমনটি করতে পারলে আপনার মন শান্ত থাকবে। সময় বাঁচবে। জীবন ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা পাবে। জবান গীবত থেকে হেফাজত থাকবে। কান কোন খারাপ কথা শুনবে না। অন্তরে কোন খারাপ ধারনা জন্মাবেনা। যে এই পদ্ধতি পরীক্ষা করে দেখবে, সে-ই এর ফলাফল ও উপকারিতা অনুভব করবে।
যে কল্পনায় বসবাস করে, যে অনর্থ ক সময় নষ্ট করে, তাকে দূর থেকেই সালাম।


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url