হে আল্লাহ ! ড. আয়েয আল করনী
হে আল্লাহ ! ড. আয়েয আল করনী
(يَسۡــٴَـلُهُ مَن فِى ٱلسَّمَـٰوَٲتِ وَٱلۡأَرۡضِۚ كُلَّ يَوۡمٍ هُوَ فِى شَأۡنٍ۬ (٢٩
নভমন্ডল ও ভূমন্ডলের সকল কিছু তার নিকট প্রার্থনা করে, তিনি সর্বদাই কোন না কোন কাজে রত আছেন। [সূরা আর রাহমান-২৯]
যথন সমুদ্র উত্তাল হয়, বিক্ষুব্ধ বায়ুতে পানি তরঙ্গায়িত হয়, নৌকার আরোহীগন তখন হৃদয়ের গহিন থেকে চিৎকার করে বলে উঠে হে আল্লাহ!
যখর মুসাফির মরুভূমিতে পথ হারিয়ে ফেলে, কাফেলা দিকভ্রান্ত হয়ে যায়, তখন ফরিয়াদ বলে ‘হে আল্লাহ!’
যখন মসিবত উপস্থিত হয়, দূর্যোগ-দূর্বিপাক এসে দেখা দেয়, তখন বিপদগ্রস্তরা বলে উঠে ‘হে আল্লাহ!’
যখন প্রার্থীদের পথ বন্ধ হয়ে যায়, অভাবিদের বঞ্চিত করা হয়, তখন হাহাকার করে বলে উঠে ‘হে আল্লাহ!’
যখন চেষ্টা-তদবির বিফল হয়ে যায়, আশা-ভরসা সঙ্গ দেয়না, উপায় উপকরণ অকেজো হয়ে যায়, সমস্ত পথ যখন রুদ্ধ হয়ে যায়, তখন মানুষ আর্তনাদ করে বলে উঠে ‘হে আল্লাহ!’
পৃথিবী সুপ্রশস্ত হওয়া সেত্ত্বেও যখন আপনার জন্য সংকীর্ণ হয়ে উঠবে, দুঃখ-দুর্দশায় যখন আপনার প্রাণ উষ্ঠাগত হয়ে যাবে, তখন আপনিও চিৎকার করে ডেকে বলুন ‘হে আল্লাহ!’
সকল ভালো কথা, একনিষ্ঠ আহবান, খাঁটি দোয়া, নিষ্পাপ অশ্রু, ভারাক্রান্ত হৃদয়ের আকুতি- সবই আল্লাহর দরবারে পৌছে।
প্রয়োজনের সময় র্অধরাত্রির দোয়ায় তাঁরই দিকে হাত প্রসারিত হয়; দুঃখ-বেদনায় ফরিয়াদ তাঁর কাছেই করা হয়।আহবান, প্রার্থনা ও ফরিয়াদে তাঁর নামই জবানে থাকে।
হৃদয়-মন তার নামেই প্রশান্তি লাভ করে; স্নায়ু শীতল হয়; বোধ ফিরে আসে এবং দৃঢ়তা সৃষ্টি হয়।
ٱللَّهُ لَطِيفُۢ بِعِبَادِهِۦ يَرۡزُقُ مَن يَشَآءُۖ وَهُوَ ٱلۡقَوِىُّ ٱلۡعَزِيزُ -١٩
’আল্লাহ তার বান্দাদের প্রতি অত্যন্ত দয়ালু ‘ [সূরা শূরা-19]
আল্লাহ- কি সুন্দর না! কত প্রিয় শব্দ! কত মূল্যবান ও বিশুদ্ধতম কালিমা!
هَلۡ تَعۡلَمُ لَهُ ۥ سَمِيًّ۬ا-٦٥
‘তুমি কি তাঁর গুণসম্পন্ন কাউকে জান?’ [সূরা মারয়াম-৬৫]
هَلۡ تَعۡلَمُ لَهُ ۥ سَمِيًّ۬ا-٦٥
‘তুমি কি তাঁর গুণসম্পন্ন কাউকে জান?’ [সূরা মারয়াম-৬৫]
আল্লাহ নামটি উচ্চারণ করুন, দেখবেন আপনার অন্তরে শক্তি-সাহস-দৃঢ়তা , আভিজাত্য-আত্মমর্যাদা ও নির্ভিকতা সৃষ্টি হবে।
لِّمَنِ ٱلۡمُلۡكُ ٱلۡيَوۡمَۖ لِلَّهِ ٱلۡوَٲحِدِ ٱلۡقَهَّار -١٦
‘আজ কর্তৃত্ব কার ? মহাপরাক্রমশালী আল্লাহরই।’ [সূরা মুমিন]
‘আজ কর্তৃত্ব কার ? মহাপরাক্রমশালী আল্লাহরই।’ [সূরা মুমিন]
‘আল্লাহ’ নামটি উচ্চারণ করুন, দেখবেন আপনার অন্তরে দয়া-অনুগ্রহ, স্নেহ-মমতা মায়া-মহব্বত ও ভালোবাসার আলোকচ্ছটা অনুভূত হবে।
-وَمَا بِكُم مِّن نِّعۡمَةٍ۬ فَمِنَ ٱللَّهِۖ ثُمَّ إِذَا مَسَّكُمُ ٱلضُّرُّ فَإِلَيۡهِ تَجۡـَٔرُونَ-٥٣
‘তোমাদের নিকট যত নেয়ামত আছে, তা আল্লাহরই পক্ষ থেকে।’ [সূরা নাহল-৫৩]
‘তোমাদের নিকট যত নেয়ামত আছে, তা আল্লাহরই পক্ষ থেকে।’ [সূরা নাহল-৫৩]
হে আল্লাহ! দুঃখ-কষ্টকে আনন্দে পরিনত করুন। অস্থিরতাকে দৃঢ়তা এবং ভয়-ভীতিকে শাহসে বদলে দিন।
হে আল্লাহ! অন্তরের আগুনকে ইয়াকীনের শীতলতা দ্বারা নিভিয়ে দিন। নফসের তাড়নাকে পানি দ্বারা ঠান্ডা করে দিন।
হে আল্লাহ! ঘুমহীনদের নিবিড় ঘুম দিন। অস্থির হৃদয়ে প্রশান্তি ঢেলে দিন । তাদের দ্রুত সফলতা দান করুন।
দয়াময় আল্লাহ! অদূরদর্শীদের নূর ও ভ্রষ্টদের সঠিক পথের দিশা দিন।
হে আল্লাহ ! অন্তরের কুমন্ত্রণাসমূহ নূরানী আলোর উজ্জলতায় দূর করে দিন। বাতিল পূজারী নফসের শ্বাস রুদ্ধ করে দিন;
তাঁর চক্রান্তকে আপনার সাহায্য দ্বারা ধ্বংস করে দিন।
হে আল্লাহ ! আমাদের দুঃখ-বেদনা ও দুশ্চিন্তা দূর করে দিন।
একমাত্র আপনি ছাাড়া অন্য কাউকে ভয় করা ও হীনমন্যতার শিকার হওয়া থেকে আমাদের রক্ষা করুন। আপনার উপরই আমরা ভরসা করি, আপনার কাছেই আমরা প্রার্থনা করি। আপনিই আমাদের পৃষ্ঠপোষক। আপনি কতইনা উত্তম পৃষ্ঠপোষক ও সাহায্যকারী।